হায়দার আলিকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়। নিজস্ব চিত্র
বাবা নিরক্ষর। সংসারে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরনো’র পরিস্থিতি। এমনই এক পরিবারের মেধাবী ছেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পিএইচডি করায়, সেই আনন্দে তাঁর নামে গ্রামে একটি রাস্তার নামকরণ করল জেলা পরিষদ।
রবিবার জলপাইগুড়ির বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দশদরগা গ্রামের বাসিন্দা ওই গবেষক-ছাত্র হায়দার আলির নামে তিন কিলোমিটার একটি রাস্তার শিলান্যাস করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ। জাতীয় সড়ক থেকে ওই গ্রাম পর্যন্ত এই কাঁচা রাস্তাটি পাকা করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ। এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল বলেন, ‘‘গ্রামের গরিব কৃষক পরিবারের ছেলে হায়দার। বাবা নিরক্ষর, ছেলেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ রকম ছেলে গ্রাম নয়, জেলার ভবিষ্যৎ। এই কারণে নতুন রাস্তার কাজের শিলান্যাস করে হায়দার আলি সড়ক নাম দেওয়া হল।’’ পরিষদ সূত্রের খবর, সম্প্রতি হায়দারের নামে রাস্তার নাম রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয় পরিষদের বোর্ডে। সেখানেই প্রস্তবটি অনুমোদিত হয়।
সামনে পঞ্চায়েত ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে উন্নয়নের কাজে জোর দিয়েছে জেলা পরিষদ। বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুদিপাড়া বুথের দশদরগা গ্রামের প্রায় তিন কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিনের সেই দাবি মেনে নতুন করে পাকা রাস্তা করতে উদ্যোগী হল পরিষদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সভাধিপতি দেবনাথ ও বিধায়ক খগেশ্বর রায়।
অন্য দিকে, হায়দার বলেন, ‘‘আমি পরিবারের সাহায্যে লড়াই করে পড়াশোনা করেছি। আমার নামে রাস্তা করা হচ্ছে। আমি গর্বিত। এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। আশা করি, দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ হবে, সকলে উপকৃত হবেন।’’