জাহাঙ্গির খান। ছবি টুইটার।
ফিরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, বুধবারই তাঁর নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি, বজবজ বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গির। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ এই নেতার ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল নবান্ন।
মঙ্গলবার বজবজ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হাসিবা খাতুনের সমর্থনে প্রচার করেন জাহাঙ্গির। প্রশ্ন ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্বের স্বাক্ষর করা প্রার্থী তালিকাকেই চূড়ান্ত বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেখানে কী ভাবে বজবজে অনুমোদনহীন তালিকায় নাম থাকা প্রার্থী হাসিবার হয়ে সমর্থনে প্রচার করতে পারেন জাহাঙ্গির? কিন্তু বুধবার বজবজ পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় আসতেই উল্লাস শুরু হয় তৃণমূল শিবিরে। পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় জাহাঙ্গিরকেই।
বজবজের বিধায়ক অশোক দেব জাহাঙ্গিরকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে এই জয়ের কৃতিত্ব দেন। তার পরেই ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হল জাহাঙ্গিরকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘বজবজ পুরসভা দখলের পুরস্কার পেলেন জাহাঙ্গির।’’
প্রসঙ্গত, বুধবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পুরভোটে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ কুণাল ঘোষ ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওখানে দায়িত্বে থাকা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পূর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্বে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জাহাঙ্গিরের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়াকে অভিষেককে মমতার পাঠানো ‘শান্তিবার্তা’ হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।