আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনেটের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন বীরেন জে শাহ এবং এমকে নারায়ণনও সেনেটের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক এবং কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। মঞ্চের পক্ষে পার্থিব বসু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তাঁদের জানান, সেনেট বৈঠকে যোগ দিতে ৪ ডিসেম্বর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন।’’ ওই বৈঠকেই নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ার কথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধি নেই, এ দিনের বৈঠকে মঞ্চের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালকে তা জানান। পূর্বতন ফিনান্স অফিসার হরিসাধন ঘোষকে বরখাস্ত করার বিষয়টিও ওঠে আলোচনায়। সেই সঙ্গে আচার্যকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য শিক্ষকপদ পূরণের কাজ চলছে খুব ধীর গতিতে। শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাও কম। প্রশাসনিক কর্মীদের বদলি করে দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম ও লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানানো হয় রাজ্যপালের কাছে। পার্থিববাবু জানান, এই সব বিষয়ে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবেন বলে এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।