—ফাইল চিত্র।
পুরনির্বাচনের মুখে পুলিশ এবং আমলাদের কার্যত হুমকি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর বক্তব্য, পুরভোট এবং আগামী বিধানসভা ভোটে পুলিশ ও আমলারা সংবিধান মেনে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ না করলে তার পরিণাম গুরুতর হতে পারে।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর ‘খট্টা মিঠা’ সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে, এই কথা জানিয়েও এ দিন মূলত আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে ফের খোঁচা দিতে ছাড়লেন না রাজ্যপাল। শুক্রবার তিনি উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন লাটাগুড়িতে আইনজীবীদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। প্রথমে সেখানে, পরে শিলিগুড়িতে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সব ক্ষেত্রেই রাজ্যপাল নিশানা করেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে। সামনে পুর এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি পুলিশ ও আমলাদের উদ্দেশে নিরপেক্ষ থেকে সংবিধান মেনে কাজ করতে বলেন।
রাজ্যপাল সংবিধানের মৌলিক কর্তব্যের অংশটি পড়তে বলে জানান, ‘‘সেটা পড়ে আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে, আমরা কোথায় যাচ্ছি? তখন আপনার মনে হবে পশ্চিমবঙ্গে হিংসার কোনও স্থান নেই।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘নিজেদের ঘরে কি কেউ আগুন লাগায়? সকলের কাছে আমার আবেদন, হিংসা বর্জন করুন।’’ এর পরেই পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের ইতিহাস বলছে ভোটে হিংসার কথা। পুরসভা, বিধানসভা ভোট আসছে। পুলিশ এবং আমলাদের নিরপেক্ষ হতে হবে। যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকে, তা হলে চূড়ান্ত অব্যবস্থা তৈরি হবে। রাজ্যপাল হিসেবে আমাকে দেখতে হবে, রাজ্যের আমলাতন্ত্র যেন নিরপেক্ষ থাকে, সংবিধান মেনে চলে। আমার বিশ্বাস, সকলে এটা মেনে চলবেন। কারণ সংবিধানের এই নির্দেশ না মানলে গুরুতর পদক্ষেপ করতে হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: বাংলা থেকে বিদায় নিল শীত, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
রাজ্যপালের সঙ্গে এ দিন লাটাগুড়ি গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি অবশ্য রাজ্যপালের এই কথার প্রেক্ষিতে কিছু বলতে চাননি। তবে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সাংবিধানিক সম্পর্ক নিয়ে গৌতম বলেন, ‘‘এই দু’পক্ষের দায়িত্ব সংবিধানে পরিষ্কার লেখা রয়েছে। সকলে সেটা মেনে চললে বা লক্ষ্মণরেখার মধ্যে থাকলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল।’’