State News

উপাচার্যের ইস্তফা ঘিরে তোপ আচার্যের

রাজ্যপালের বক্তব্য, উপাচার্য-পদ থেকে সব্যসাচীবাবুর সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসবে রবীন্দ্রগানের বিকৃতি-সহ ‘অশ্লীলতা’ নিয়ে বিতর্কের জেরে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছে। তা গৃহীত হয়নি। তবে উপাচার্যের পদত্যাগপত্র পাঠানোর সেই ঘটনাকে ঘিরে তোপ দেগেছেন আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

Advertisement

রাজ্যপালের বক্তব্য, উপাচার্য-পদ থেকে সব্যসাচীবাবুর সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁকে না-জানিয়ে পদত্যাগপত্র দেওয়ায় আচার্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ‘‘রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগপত্র গ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র আচার্য-রাজ্যপালের আছে। অন্য কারও নেই। রাজভবনে কোনও পদত্যাগপত্র আসেনি। আমি পরে জানতে পেরে খুব অবাক হয়েছি। উপাচার্যের ইস্তফার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুধু আচার্য। সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না,’’ রবিবার সংবাদমাধ্যমে বলেন ধনখড়।

এ দিন রাজভবন থেকে এই বিষয়ে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে, আইন অনুযায়ী রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগ করার বিষয়টি পুরোপুরি আচার্যের সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভরশীল। তবে শিক্ষা-প্রশাসন সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষার নতুন বিধি অনুযায়ী উপাচার্য সব্যসাচীবাবু উচ্চশিক্ষা দফতরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে আইনমাফিক কাজই করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু বলেন, ‘‘উপাচার্য ঠিক কাজই করেছেন। এই বিষয়ে রাজ্যপালকে কিছু ভাবতে হবে না। বলতেও হবে না।’’ এই নিয়ে বক্তব্য জানতে সব্যসাচীবাবুর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও কোনও উত্তর দেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্ক: সৌদি থেকে ফিরেই যুবকের মৃত্যু মুর্শিদাবাদে

রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসবে অশ্লীলতা-বিতর্কের জেরে শুক্রবার রাতেই শিক্ষামন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচীবাবু। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না। ফলে ওই পদেই থেকে গিয়েছেন সব্যসাচীবাবু। তার পরে রবিবার আচার্যের এই প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের ইন্ধন পেল বলে মনে করছেন শিক্ষা শিবিরের অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement