ছবি: পিটিআই।
রাজ্য সরকার তাঁকে কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় না বলে ‘ক্ষুব্ধ’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
তাঁর এই নতুন ক্ষোভের কথা তিনি নিজেই প্রকাশ করেছেন শুক্রবার। এ দিন রাজভবনে সেখানকার কর্মীরা বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে রাজ্যপাল-সহ বিশিষ্ট কয়েক জনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হয়। তখন সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এ রাজ্যে ৩০ জুলাই রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে সরকারের তরফ থেকে কোনও আমন্ত্রণ পাইনি। শুধু ১১ অক্টোবর (রেড রোডের কার্নিভাল) আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। গিয়েওছিলাম।’’
এ দিন বিজয়া সম্মেলন ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। প্রতি বারের মতো এ বারও শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, বিদেশি কূটনীতিক, আমলা ছাড়াও সিনেমা, সঙ্গীত ও ক্রীড়া জগতের বিশিষ্টরা সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু আগেও কোনও দিন এই কর্মসূচিতে কোনও রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ বারও আমন্ত্রণ পাননি বর্তমান রাজ্যপাল ধনখড়। কারণ, সরকার মনে করে, রাজ্যপালকে ডাকার মতো ‘প্রোটোকল’ মানা অনুষ্ঠান এটি নয়।
যদিও সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে ধনখড়ের মন্তব্য বিষয়টিতে তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রা যোগ করেছে। তাই রাজ্যপালের ওই ধরনের মন্তব্য নবান্ন ‘ভাল চোখে’ দেখছে না। মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মেলন পূর্বঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও রাজভবনে কেন একই সময়ে বিজয়ার অনুষ্ঠান করে কিছু বিশিষ্ট লোককে ডাকা হল, সে প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং রাজ্যপালের সচিবের কাছে প্রকাশ্যেই এ কথা জানিয়ে দেন। রাজভবনের অনুষ্ঠান সেরে রাজ্যপালের সচিব যখন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে পৌঁছন, মুখ্যমন্ত্রী তখন ফেরার পথে গাড়িতে উঠছেন। সেখানেই সচিবের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। মমতা তাঁকে জানান, একই দিনে রাজভবনে এমন অনুষ্ঠান করা শোভন হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।
রাজভবন অবশ্য বলে, সেখানকার কর্মীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিজে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করেননি।