নওশাদ সিদ্দিকি। ফাইল ছবি।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর নেতা নওশাদ সিদ্দিকির অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে তাঁর মক্কেলের উপস্থিত থাকা জরুরি। এই মর্মে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন নওশাদের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি ছিল, তাঁর মক্কেল বিধায়ক। তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেওয়া হোক।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নওশাদকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ওই শুনানিতে বিধায়কের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সময়কালের মধ্যেই বুধবার আদালতে নওশাদের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করলেন তাঁর আইনজীবী রাজা সেনগুপ্ত। আদালতে রাজার আর্জি, ‘‘যাঁর জামিনের আবেদন করছি, তাঁর সামাজিক অবস্থানের বিষয়টি বিচার করে দেখা হোক। উনি এক জন নির্বাচিত বিধায়ক। ওঁর বাজেট অধিবেশনে থাকা দরকার। ওঁর বিধানসভা এলাকার মানুষের স্বার্থেই।’’
পুলিশের ইট মারার ছবি আদালতে জমা দিতে চেয়েছেন নওশাদের আইনজীবী। বলেন, ‘‘বেআইনি জমায়েত করা হয়নি। হেলমেট পরে পুলিশই ইট মেরেছে। লাঠিচার্জ করেছে। সেই ছবি আদালতে দিতে চাইব। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা, তা জানার জন্য ৩০৭-এর কেসে পুলিশ হেফাজতে নিতে চায় কী করে? বিশেষ পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করছি।’’
রাজার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারকও জানান, বিশেষ পরিস্থিতির বিষয়টি নজরে রেখেই জামিনের আবেদনের শুনানি হচ্ছে। সরকার পক্ষ অবশ্য জামিনের আবেদনের বিরোধী করে। সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘পুলিশের মনে হলে যে কোনও জমায়েতকেই বেআইনি ঘোষণা করতে পারে তারা। বিধি মেনে সব কাজ করেছে পুলিশ। যাঁরা আইন রচনা করেন, তাঁরা কী করে আইন ভাঙেন? জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করছি।’’
সওয়াল-জবাবের পর সরকার পক্ষের যুক্তিতে সায় দিয়ে নওশাদের জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বক্তৃতা দিয়ে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার অধিবেশন হবে না। শুক্রবার থেকে আবার অধিবেশন বসবে। রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতার উপর আলোচনা হবে।