ISF-Police Clash At Bhangar

এ বার তৃণমূল নয়, ভাঙড়ে পুলিশ এবং আইএসএফের সংঘর্ষ! ‘ভোটচুরি’র অভিযোগে উত্তাল এলাকা

পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের রাতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে আইএসএফের। বোমার আঘাতে পদস্থ এক পুলিশকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে আরও বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩ ০০:১৯
Share:

ভাঙড়ে গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফের সংঘর্ষ। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের রাতেও অশান্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। এ বার পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিয়ে হামলা করেন কয়েক জন আইএসএফ কর্মী। গন্ডগোলে পুলিশের পদস্থ কর্তা আহত হয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি আইএসএফের কয়েক জন কর্মীও জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্কিত ভাঙড়ের গ্রামবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ রাবার বুলেটও চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ডিসিআরসি সেন্টারে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে বোমার আঘাতে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পাল্টা পুলিশের মারে আইএসএফের বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর।

১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ভাঙড়ে। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছে ১৮টি। আইএসএফ এবং জমিরক্ষা কমিটির জোট পেয়েছে একটি মাত্র পঞ্চায়েত। ভাঙড়-২ ব্লকের দু’টি জেলা পরিষদের আসনের ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। তার আগেই পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়ায় আইএসএফ।

Advertisement

গন্ডগোলের সূত্রপাত ভোটগণনা নিয়ে। আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, তাঁদের জেলা পরিষদের এক প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিডিও জানান, জাহানারা ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে ‘সেটিং’ করেছে তৃণমূল। তার পরই ভোটের এই ফলঘোষণা হয়েছে। তাঁরা পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই অশান্ত ভাঙড়। বার বার এখানে তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সেই অশান্তি আরও বাড়ে। বোমাবাজি, গুলির লড়াইয়ে শুধু মনোনয়ন পর্বেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ভাঙড়ে। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক আইএসএফ কর্মী এবং দুই তৃণমূল কর্মী। আহতও হন দু’পক্ষের অনেকে। উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে বার্তা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্য দিকে, ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী এবং বেশ কয়েক জন সিপিএম প্রার্থী নিজেদের নাম কমিশনের তালিকায় খুঁজে না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু আদালতে তাঁদের নতুন করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ খারিজ করে দেওয়ায় অনেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় তৃণমূল। যদিও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের খাসতালুকেই পঞ্চায়েত ভোটে হেরেছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement