চলছে উদ্ধার কাজ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
পাহাড়ে দুর্যোগকে ঘিরে এ বার রাজনীতির গন্ধ পেল রাজ্য প্রশাসন।
কেন্দ্র কি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চায়? বুধবার সেই প্রশ্ন কার্যত তোলা হল রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহল থেকে। প্রধানমন্ত্রীর একটি বার্তাকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক দানা বেধেছে।
কী সেই বার্তা?
এক দিকে, ধসের জেরে পাহাড়ের লণ্ডভণ্ড অবস্থার খবর পেয়ে তাঁর জেলা সফর কাটছাঁট করে যখন উত্তরবঙ্গ ছুটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বিধ্বস্ত দার্জিলিঙের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানেই অস্বস্তি রাজ্য প্রশাসনের।
কারণ?
প্রশাসনের দাবি, রাতে ওই দুর্গত এলাকায় যাওয়াটা মোটেই নিরাপদ নয়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে এই পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানো হয়। পাশাপাশি, আরও একটা কারণ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে ‘তত্পরতা’র সঙ্গে দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্যের নির্দেশ দিয়েছেন, ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রসচিবকে শিলিগুড়ি পাঠিয়েছেন, নিজের জেলাসফর কাটছাঁট করে পাহাড়ের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছেন— তার পরও এক জন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে পাহাড়ে পাঠানোটা ভাল চোখে দেখছে না সরকারের শীর্ষ মহল। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘তাড়াহুড়ো’ তাঁদের পছন্দ হয়নি। তাঁদের মতে, এটা ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার সময় নয়। যে কারণে রিজিজুকে দার্জিলিং পাঠানো হচ্ছে, সেটা এই মুহূর্তে খুব একটা জরুরি নয়। আর যদি পাঠাতেই হয়, তবে কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে সেটা করতে হল? এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও এক বার কথা বলা গেল না? আর সব মিলিয়েই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহল।
যদিও বিজেপি এই ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ এনেছে। রিজিজু এবং দার্জিলিঙের সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া এ দিন সন্ধ্যায় বাগডোগরায় পৌঁছন। অহলুওয়ালিয়া বলেন, “ গোড়া থেকেই আমরা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তিনিই সব ব্যবসথা করছেন। অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এবং রিজিজু সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীও বটে। তা হলে তিনি কেন ওখানে যেতে পারবেন না?”