Irrigation Department

খাল সংস্কারে ‘ব্যয়হীন’, নতুন পরিকল্পনা সেচের

খাল, বিল, নদী সংস্কারের অভাবে প্রায় নিয়ম করে প্লাবিত হয় রাজ্যের একাধিক জেলা। বিশেষ করে, বর্ষার সময়ে এই খাল ও নদী সংস্কারের অভাবে সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫২
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

নদী ও খাল সংস্কারের কাজ বেসরকারি হাতে দিচ্ছে রাজ্যের সেচ দফতর। জেলা শাসক ও দফতরের শীর্ষ আমলাদের নিয়ে বুধবার সেচ দফতরের বৈঠকে রাজ্য জুড়ে এই কাজে একটি নতুন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই কাজের বরাত দিতে রাজ্য সরকার টেন্ডার গ্রহণ করবে। তবে সে ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থা এই সংস্কারের জন্য সরকারকে টাকা দেবে। তার বিনিময়ে নদী ও খালের মাটি এবং বালি তারা খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবে। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার দাবি, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা গেলে রাজ্য দু’দিক থেকে লাভবান হবে। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘ইতিমধ্যেই ২৮ জায়গায় যে কাজ শুরু হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকার ১১২ কোটি টাকা পাবে।’’

Advertisement

খাল, বিল, নদী সংস্কারের অভাবে প্রায় নিয়ম করে প্লাবিত হয় রাজ্যের একাধিক জেলা। বিশেষ করে, বর্ষার সময়ে এই খাল ও নদী সংস্কারের অভাবে সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকার সর্বত্র সে কাজের দায়িত্ব নিতে না পারায় এক নতুন ভাবনা কার্যকর করতে চাইছে সেচ দফতর। সংস্কারের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থা বা ঠিকাদারদের দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। সেচমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আগে সংস্কারের কাজে ঠিকাদারদের মধ্যে যারা সব থেকে কম টাকা চেয়েছেন, কাজের বরাত তাঁদের দেওয়া হত। এখন যাঁরা সরকারকে সব থেকে বেশি টাকা দেবেন, তাঁরাই এ কাজ পাবেন।’’ সেচ দফতরের সচিব মণীশ জৈন বলেন, ‘‘বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত বালি তোলা যাবে না। সেটা এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। এই মাটি মূলত ইটভাটার কাজে ব্যবহৃত হবে।’’

সেচমন্ত্রী মানসের দাবি, সরকারের কাছ থেকে এই সংস্কারের বরাত নিয়ে নদী ও খাল থেকে ঠিকাদার সংস্থা মাটি, বালি যা তুলবে, তা তাদের। তারা বাণিজ্যিক ভাবেই তা খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবে। মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূমের মতো জেলায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু করেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি সাশ্রয় হবে রাজ্য সরকারের।’’ সেচ সচিব মনীশের সংযোজন, ‘‘জেলা পরিষদ ও পুরসভাগুলিকেও এই কাজে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement