পাঁচ বছরের কাজ, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন বিদায়ী জেলা সভাধিপতিরা। আজ দঃ ২৪ পরগনার শামিমা শেখ।
Shamima Shaikh

‘এত বড় দল, এই সব হবে, আবার মিটেও

লকডাউনে বাইরে কাজ করা শ্রমিকদের প্রায় সকলেই ফিরে এসেছিলেন। আমরা একশো দিনের কাজের মাধ্যমে অনেকেরই কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৬:২৯
Share:

শামিমা শেখ। —নিজস্ব চিত্র।

প্রশ্ন: মনোনয়ন ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল জেলার বেশ কিছু এলাকা। ভোটে প্রভাব পড়বে?

Advertisement

উত্তর: এত অল্প সময়ে গোটা রাজ্য জুড়ে যে বিপুল সংখ্যক মনোনয়ন পড়েছে, দু’-এক জায়গায় গোলমাল হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তবে, এটা সামগ্রিক চিত্র নয়।

প্রশ্ন: দলের মধ্যে এখনও বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে, টিকিট না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।

Advertisement

উত্তর: এত বড় দল। এই সব ব্যাপার হবে, আবার মিটেও যাবে। তবে আশা করি, কোথায় কোনও দ্বন্দ্ব, গোলমাল থাকলেও দিনের শেষে সকলেই দলের জন্য কাজ করবেন।

প্রশ্ন: জেলায় নানা এলাকায় শক্তি বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। কতটা চিন্তিত?

উত্তর: কোনও চিন্তা নেই। এরা পরিযায়ী পাখি, ভোটের সময় দেখা যায়। মানুষ তা বুঝে গিয়েছেন।

প্রশ্ন: জেলার প্রচুর মানুষকে ভিন্ রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের নিয়ে কী ভাবছেন?

উত্তর: লকডাউনে বাইরে কাজ করা শ্রমিকদের প্রায় সকলেই ফিরে এসেছিলেন। আমরা একশো দিনের কাজের মাধ্যমে অনেকেরই কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় আবার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। পথশ্রী এবং অন্যান্য প্রকল্পে কিছু মানুষকে আমরা কাজ দিতে পেরেছি।

প্রশ্ন: জেলায় বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে। বেআইনি বাজি তৈরির অভিযোগ রয়েছে। কী সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: দুর্ঘটনা সব সময়েই দুঃখের। বহু গরিব মানুষ বাজি তৈরির সঙ্গে জড়িত। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সতর্ক করেছি।

প্রশ্ন: বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ কতটা পাচ্ছে?

উত্তর: প্রায় প্রতিটি বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে নথিপত্র সংক্রান্ত সমস্যার জন্য বার্ধক্য-ভাতা বা লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতে সমস্যা হচ্ছে। সমাধানের চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন: রাস্তা, আলো, নদীবাঁধ নিয়ে অভিযোগ আছে।

উত্তর: জেলা জুড়ে প্রচুর রাস্তার কাজ হয়েছে। আরও হবে। আলোও লাগানো হচ্ছে। বাঁধেও নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়। স্থানীয় বাঁধ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

প্রশ্ন: জেলায় পানীয় জলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। সামলাতে কী পরিকল্পনা?

উত্তর: আমরা প্রচুর নলকূপ, সাব-মার্সিবল পাম্প বসিয়েছি। কিন্তু জলস্তর নামছে। ফলে, অনেক জায়গায় জল উঠছে না। ডোঙারিয়া প্রকল্পে নদীর জল পরিশুদ্ধ করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জল অপচয় নিয়েও সকলকে সতর্ক হতে হবে। (শেষ)

সাক্ষাৎকার: সমীরণ দাস

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement