আন্তর্জাতিক পশুপাচার চক্রের থেকে উদ্ধার পশু। —নিজস্ব চিত্র।
খাস কলকাতার বুকে চলছে আন্তর্জাতিক পশুপাচার চক্র। শহরে এমন একটি চক্রের দুই পান্ডার কাছ থেকে উদ্ধার করা হল একটি সিংহশাবক ও তিনটে হোয়াইট হেডেড লাঙ্গুর। শুক্রবার গভীর রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে একটি গাড়ির ভিতর থেকে ব্যাগবন্দি অবস্থায় মিলেছে ওই সিংহশাবক-সহ লাঙ্গুরের মতো অতিমাত্রায় বিপন্ন প্রাণী। তাদের পশ্চিম ভারতে পাচার করার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে। আগে থেকে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকেরা। বন দফতরের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো (ডব্লিউসিসিবি) এবং ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল (ডব্লিউসিসিসি)-এর যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় ওই পশুদের। এই ঘটনায় ওই চক্রের দুই পান্ডা-সহ গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম ওয়াসিম রহমান, ওয়াজিদ আলি এবং মহম্মদ গুলাম ঘাউস। সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই তাদের কাছে খবর ছিল, পশুপাচার চক্রের একটি বড় বরাত আসছে বাংলাদেশ থেকে। বনগাঁ সীমান্ত থেকে বর্ধমানে ঢোকার পর তা পাচার হওয়ার কথা ছিল পশ্চিম ভারতে।
খবর পেয়ে গত কাল রাত ২টো নাগাদ আগে থেকেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৌঁছে যান ডব্লিউসিসিবি, ডব্লিউসিসিসি এবং বন দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। এর পর সূত্রের খবর মতো একটি স্করপিও গাড়িকে থামানো হয়। ওই গাড়ির ভিতর থেকে ব্যাগবন্দি অবস্থায় মেলে ওই পশুদের। এর পর ওই গাড়ির চালক-সহ পাচার চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: এত দায়িত্ব দিলাম, ফেল করলি! মমতার তোপের মুখে অরূপ
আরও পড়ুন: গিরির কাঁধে গরুর ভার
ব্যাগবন্দি অবস্থায় মিলেছে ওই সিংহশাবক-সহ লাঙ্গুরের মতো চরম বিপন্ন প্রাণী। —নিজস্ব চিত্র।
বন দফতর সূত্রের খবর, শহরে সিংহশাবক পাচার একেবারে নতুন ঘটনা। কী ভাবে পাচার করা হত? প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এক বার নয়, পাচার করার সময় বার বার হাতবদল হত পশুদের। যার কাছে পশুগুলি থাকত সে জানতেও পারত না এর পর কার হাতে ওই পশুগুলিকে তুলে দিতে হবে। যার কাছে পশুদের হাতবদল করে দিতে হবে, সে এদের ফোন করে জানত, ওই পশুদের কোথায় নিয়ে যেতে হবে। এ ভাবেই হাতবদল হত পশুরা।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেররাজ্যবিভাগ।)