মাদারিপুরে বিক্ষোভ মহিলাদের। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে রবিবার সকালে অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার উপনির্বাচন ছিল।
এ দিন বেলা ৯টা নাগাদ ইসলামপুর থানার মাদারিপুর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, মাদারিপুর হাইস্কুলের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পৌঁছে যায় রাজ্য পুলিশও। ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে যাঁরা দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয় বলেও দাবি। কিন্তু তার কিছুটা পরে ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমও। মারধর করা হয় সাংবাদিককে। ভাঙচুর করা হয় সাংবাদিকদের গাড়িও। ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে গিয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক জনকে আটক করা হয়েছে।’’
গন্ডগোলের প্রভাব সব থেকে বেশি যে বুথে পড়েছে বলে দাবি, মাদারিপুর হাইস্কুলের সেই ৬ নম্বর বুথে ৮৯০টি ভোটের মধ্যে ৭০৯টি ভোট পড়েছে। তবে বিজেপির প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা এলাকায় গন্ডগোল করেন। মাদারিপুর হাইস্কুলের ৬ নম্বর বুথ দখল করে রেখেছিল তৃণমূল।’’ ইসলামপুরের পুরপ্রধান তথা প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘গণ্ডগোল ও বুথ দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
মালদহের হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট মোটের উপরে শান্তিপূর্ণই ছিল। তবে কোথাও টোটো ও ভুটভুটি করে ভোটারদের বুথে বুথে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কুপন দিয়ে দোকান থেকে ভোটারদের মিষ্টি বিলির নালিশও শোনা গিয়েছে। বামনগোলা ব্লকের সহরাবাড়ি প্রাইমারি স্কুলের ১২১ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী অমল কিস্কুকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির উস্কানিতে সিআরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেন। ওই ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা সেই বুথে তাঁকে আটকে থাকতে হয়। পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। বাহিনীর তরফে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে
কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে, এ দিন নির্দিষ্ট বুথে সকাল সকাল ভোট দেন বিজেপির জোয়েল মুর্মু, তৃণমূলের অমল কিস্কু, কংগ্রেসের রেজিনা মুর্মু। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হবিবপুর বিধানসভায় ভোট পড়েছে ৭১.৬৭ শতাংশ।