100 days work

‘ত্রুটি’ শোধরাতে পরামর্শ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে

কাজের জায়গায় ডিসপ্লে-বোর্ড ‘ঠিকঠাক’ নেই। আবাস যোজনার বাড়িতে শৌচাগার নেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

১০০ দিনের প্রকল্পের জব-কার্ড দেওয়া এবং তার তথ্য যথাযথ ভাবে ‘আপডেট’ করা হয়নি। কাজের জায়গায় ডিসপ্লে-বোর্ড ‘ঠিকঠাক’ নেই। আবাস যোজনার বাড়িতে শৌচাগার নেই। ‘নির্মল’ এলাকাতেও মাঠে শৌচকর্ম সারেন অনেকে। সপ্তাহভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে এমনই নানা পর্যবেক্ষণ ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং’ দলের সদস্যদের। হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবারের বৈঠকে সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এ দিনও পর্যবেক্ষণ চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে।

Advertisement

সূত্রের দাবি, বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার রাতে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, খাতায়কলমে প্রকাশ্য শৌচমুক্ত হলেও, সে সমস্যা এখনও কিছু এলাকায় রয়েছে বলে তাঁদের নজরে এসেছে। নানা জায়গায় উপভোক্তারা আবাস যোজনা প্রকল্পে তৈরি পাকা বাড়ি নানা জিনিস ডাঁই করে রাখায় ব্যবহার করছেন। থাকছেন পুরনো বাড়িতে। তাই প্রকল্পে তৈরি বাড়ির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় দলের সদস্য এস এস চৌহান বলেন, ‘‘বৈঠকে কিছু বিষয় তুলে ধরেছি। বিষয়গুলি যাতে জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখে, তা বলেছি। প্রকল্পে কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি নজরে এসেছে কি না, তা
কেন্দ্রের কাছে রিপোর্টে জানানো হবে।’’ বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ওঁরা বৈঠকে যে বিষয়গুলি জানিয়েছেন, সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।’’

কেন্দ্রীয় পরিদর্শকদের সঙ্গে হুগলি জেলা প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠক এ দিন হয় ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে। বৈঠকে যোগ দেন ১০০ দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্লক ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকেরাও। সূত্রের খবর, সেখানে পর্যবেক্ষকেরা দাবি করেন, জেলায় ১০০ দিনের প্রকল্পে কোথাও ডিসপ্লে-বোর্ড নেই। মাঠে কাজের জায়গার ‘মাস্টার রোল’-এর সঙ্গে ‘অনলাইন মাস্টার রোল’-এর সামঞ্জস্য নেই। কাজের আবেদনপত্রে সইয়ের সঙ্গে ‘মাস্টার রোল’-এর স্বাক্ষরের মিল নেই। আবাস যোজনা প্রকল্পে গড়া বাড়িতে শৌচাগার না থাকা এবং ঘর অসম্পূর্ণ থাকার কথাও বলেছেন তাঁরা। তা শুধরে ভবিষ্যতে যাতে ভাল ভাবে কাজ হয়, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা
প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিকের দাবি , ‘‘ওঁরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তেমন করেই ত্রুটিমুক্ত ভাবে কাজ করার চেষ্টা হবে।’’

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এ দিন সকালে প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখে, দুপুরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পর্যবেক্ষকেরা।
সূত্রের খবর, তাঁরা দাবি করেন, কোথাও একশো দিনের কাজ হলেও, পোর্টালে তথ্য ‘আপলোড’ করা হয়নি, প্রকল্পের কাজ যেখানে হয়েছে, ডিসপ্লে-বোর্ড রয়েছে তার থেকে দূরে, কোথাও আবার বোর্ডের লেখা অসম্পূর্ণ। আবাস যোজনায় অনেকে টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি বলে তাঁরা জেলা প্রশাসনের নজরে আনেন। জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলার দাবি, ‘‘ওঁরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা লিখে নিয়েছি। এক কথায়,
ওঁরা সন্তুষ্ট।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement