মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। দফায় দফায় মিছিল ও সভা করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির উদ্দেশ্যে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। সেই সঙ্গে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদও চলবে।
সম্প্রতি বিধানসভায় পাশ হওয়া স্বাস্থ্য বিলের বেশ কয়েকটি ধারা চিকিৎসকদের স্বার্থের পরিপন্থী বলে আইএমএ-র অভিযোগ। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে ২৭ এপ্রিল দেশ জুড়ে ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছে তারা। সেই আন্দোলন সফল করার জন্য জনমত গড়ে তুলতে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘স্বাস্থ্য বিলের বেশ কিছু অংশের ব্যাপারে আমরা কেন আপত্তি তুলছি, ফেসবুক-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপে তা মানুষকে জানাব,’ বলছেন আইএমএ-র প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, এই বিলের জেরে চিকিৎসা পরিষেবাতেও বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা যে ষোলো আনা, সেটা আমজনতাকে জানানো দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা। কেননা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় না-থাকলে চিকিৎসকদের কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষই।
হাসপাতাল, ক্লিনিকে কালো কাপড় টাঙিয়ে আইএমএ জানিয়ে দেবে, প্রতিবাদ কেন। সংগঠনের সব রাজ্য শাখা একযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই-মেল করে নিজেদের বক্তব্য জানাবে। স্বাস্থ্য বিলের যে-সব অংশ নিয়ে তাঁদের আপত্তি আছে, সেগুলো জানিয়ে সই সংগ্রহের জন্যও পথে নামবেন চিকিৎসকেরা। নিজেদের আন্দোলনে জনসমর্থন বাড়াতেই এই পথ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইএমএ।
তা হলে কি আদালতের উপরে আস্থা রাখতে পারছে না আইএমএ?
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে কে অগ্রবাল জানাচ্ছেন, আদালতের উপরে তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ‘‘আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে তবু রাস্তায় নেমে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতেই। প্রতিবাদের হাতিয়ার করা হবে সোশ্যাল মিডিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমকেও,’’ বলছেন অগ্রবাল।