IIT Kharagpur

লিঙ্গ সংবেদনশীলতা: আবশ্যিক আইআইটিতে

খড়্গপুর আইআইটি নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের জন্য ‘লিঙ্গ সংবেদনশীলতা ও লিঙ্গ বিচার’ শীর্ষক বাধ্যতামূলক এই ই-লার্নিং কোর্স চালু করছে চলতি বছরেই। পড়ুয়াদের মধ্যে যৌন হয়রানি ও লিঙ্গ বৈষম্য বিরোধী সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৩৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

তাগিদ ছিল কর্মক্ষেত্রে অগ্রগণ্য হওয়ার। সেই সূত্রেই ‘লিঙ্গ সংবেদনশীলতা’ নিয়ে কোর্স চালুতে উদ্যোগী হয়েছিল খড়্গপুর আইআইটি। তবে বর্তমান আবহে সেই কোর্সই অন্য মাত্রা পাচ্ছে।

Advertisement

খড়্গপুর আইআইটি নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের জন্য ‘লিঙ্গ সংবেদনশীলতা ও লিঙ্গ বিচার’ শীর্ষক বাধ্যতামূলক এই ই-লার্নিং কোর্স চালু করছে চলতি বছরেই। পড়ুয়াদের মধ্যে যৌন হয়রানি ও লিঙ্গ বৈষম্য বিরোধী সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নথিভুক্ত হওয়া পড়ুয়াদের কোর্সের কিট দেওয়া হবে। চলতি সিমেস্টারেই শেষ করতে হবে কোর্স।

২০২১ সালে বম্বে আইআইটি এই কোর্স চালু করেছিল। এই ধরনের কোর্স করা থাকলে কর্পোরেটে চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের সুবিধা হবে, এমন ভাবনা কাজ করেছিল। তা জেনে চলতি বছরের গোড়ায় বিষয়টি খড়্গপুরের সেনেটে প্রস্তাব আকারে তুলে ধরেন উইমেন স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক অমিতা পাঠক মোহান্তি। সেনেটে তা গৃহীত হয়। তবে কোর্স চালুর আগেই ঘটে যায় আর জি করের ঘটনা। তার পরে আইআইটি কর্তৃপক্ষ স্নাতক, স্নাতকোত্তরে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই কোর্স বাধ্যতামূলক করেছেন।

Advertisement

যাঁর প্রস্তাবে এই কোর্স চালু হচ্ছে, সেই রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অমিতা বলছেন, “আমরা যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইনের উপর নির্ভর করে এই বাধ্যতামূলক কোর্স তৈরি করেছি। পড়ুয়ারা সচেতন হলে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র ও কর্মস্থলে তারা সুফল পাবে। লিঙ্গ ও যৌনতার মধ্যে যে পার্থক্য, এই কোর্সে তা নিয়ে সচেতন করা হবে। নারী-পুরুষের শারীরিক গঠন ও জৈবিক পার্থক্য ছাড়া বাকিটা সমান এটাও বোঝানো হবে।”

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে মোমবাতি নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়ারা। মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মানছেন, “আর জি করের মতো ঘটনার পরে আমাদেরও মনে হচ্ছে এই শিক্ষা সত্যিই জরুরি।” কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের এক অধ্যাপকের মতে, “সত্যি বলতে আমাদের পড়ুয়ারা একটু আত্মকেন্দ্রিক। পড়াশোনা শেষে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের সুযোগ পেতেই ওরা এমন কোর্স চেয়েছিল। তবে যে সময় কোর্স চালু হচ্ছে, তখন আর জি করের মতো ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।”

কোর্সের বিষয়বস্তু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দিয়ে ভিডিয়ো শিক্ষার আদলে সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে রয়েছে ২০টি পর্যায়। প্রতিটি পর্যায় শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলেও পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হবে না। তবে মার্কশিটে কোর্সটির উল্লেখ থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement