চেতলার টিকাকেন্দ্রে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার থেকে রাজ্যে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হল। চেতলা গার্লস স্কুলে বেলা ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কয়েক জন কিশোরীর টিকাকরণ করান।
সকাল থেকেই টিকা নেওয়ার জন্য আধার কার্ড ও বিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল ছাত্রীরা। একে একে লাইন দিয়ে টিকা নিতে দেখা গেল তাদের। টিকা নিয়ে একই সঙ্গে তাদের মধ্যে ছিল উত্তেজনা ও ভয়। কারও কারও ইনজেকশনে ভয়, শিক্ষিকাদের দেখা গেল অভয় দিতে। অবশেষে টিকা পেয়ে খুশি সকলেই। সপ্তম শ্রেণির অয়ন্তিকা বলছিল, ‘‘ভয় লাগছিল। ভেবেছিলাম অনেকটা ব্যথা লাগবে। অতটা লাগেনি। তবে ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, আমার আর করোনা হবে না।’’ পাশাপাশি খুশি অভিভাবক ও শিক্ষকরাও।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে পুরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্কুলে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে কিশোর-কিশোরীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। আবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে পর্যাপ্ত টিকা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৩৭টি কেন্দ্রে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এর পর প্রয়োজনে আরও স্কুলে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’ হাতিবাগানের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
শুধু স্কুলপড়ুয়া নয়, সেই সঙ্গে স্কুলছুটেরাও যাতে করোনার এই টিকা পায়, সে দিকেও জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। পুরো কর্মসূচি যাতে ঠিকমতো চলে, সে দিকে নজর রাখতে জেলা, মহকুমা, পুরসভা, ব্লক স্তরে স্কুলশিক্ষা দফতরকে নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।