ভাঙড়ের মানুষের বিভ্রান্তি দূর করে, তাঁদের ইচ্ছে-অনিচ্ছে মাথায় রেখেই পাওয়ার গ্রিড নির্মাণ সম্পূর্ণ করার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাজেট অধিবেশনের প্রথম থেকেই ভাঙড় নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী কেন নীরব, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছে অন্য। মানুষকে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প নিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক কথা গ্রামবাসীদের মাথায় ঢুকিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।’’ মমতার বক্তব্য, মানুষকে বুঝতে হবে কেন পাওয়ার গ্রিড তৈরি হচ্ছে। কারণ, গ্রামে ভোল্টেজ খুব কম থাকে। তিনি নিজেই দেখেছেন, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে টিমটিম করে আলো জ্বলে। মানুষের স্বার্থেই এর চিরস্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ভাঙড়ের মানুষকে এই কথাটাই বোঝাতে চাইছি। তবে জোর জবরদস্তির ব্যাপার নেই। গ্রামের মানুষ চাইলে (পাওয়ার গ্রিডের) কাজ হবে, না চাইলে হবে না।’’
পুলিশি অভিযানের কার্যকারণও এ দিন ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘ভাঙড়ে প্রচুর অস্ত্র মজুত হয়েছিল। সেগুলি পরিষ্কার না করলে মানুষের নিরাপত্তা নিয়েই সংকট তৈরি হতে পারত।’’ তবে পোড়খাওয়া রাজনীতিক মমতা হয়তো বুঝতে পারছেন, ভাঙড়ে পুলিশের ভূমিকায় এখনও অসন্তোষ রয়েছে। আউশগ্রাম, ধূলাগড়ে অশান্তির ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকায় মানুষ ক্ষুব্ধ। এবং সেটাই এখন বিরোধীদের অস্ত্র। সম্ভবত সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধূলাগড়ে একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটেছিল, সে দিনই জেলা পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় থানার আইসি-কে সরিয়ে দিয়েছি। আউশগ্রামের আইসি-কেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আইসি, বদল হয়েছে ভাঙড়েও।
আজ অবশ্য ভাঙড়েই ফের সভা করার কথা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। ভাঙড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।