বৈশাখী না থাকলে অস্তিত্ব বিলুপ্ত হত: মেয়র

শোভনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিজের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে বলেছেন। তবে বৈশাখীর ‘ব’ টুকুও উচ্চারণ করেননি। মেয়রের অভিযোগ, কিছু স্বার্থান্বেষী ওই নামটি সামনে এনে জলঘোলা করছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়র থাকা, বা না থাকার সঙ্গে বৈশাখীর কোনও যোগ নেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ০৪:৪৭
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী

যাঁর নাম ঘিরে তাঁর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে নানা বিতর্ক এবং অভিযোগ, সেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই তিনি আছেন এবং থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পুরভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মেয়র শোভনবাবুর ঘোষণা, ‘‘মানুষটি আমার পাশে দাঁড়িয়ে যে ভাবে সাহায্য করেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তা কোনও দিন ভুলব না। তাঁকে অস্বীকার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’

Advertisement

কিছু দিন ধরে মেয়র তথা মন্ত্রী হিসেবে শোভন তাঁর কাজে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছেন না বলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনে ধারণা তৈরি হয়েছিল। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এবং আনুষঙ্গিক বিবিধ পরিস্থিতিতে মেয়র নিজেও যথেষ্ট বিব্রত বলে প্রকাশ্যে বার বার জানিয়েছেন। তাঁকে দায়িত্বশীল পদে রাখা হবে কি না, সম্প্রতি তা নিয়েও গুঞ্জন ছড়ায়। এই অবস্থায় সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরে শোভন জানান, তিনি মেয়র এবং মন্ত্রী আছেন, থাকবেন। এর পরেই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তিনি।

শোভনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিজের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে বলেছেন। তবে বৈশাখীর ‘ব’ টুকুও উচ্চারণ করেননি। মেয়রের অভিযোগ, কিছু স্বার্থান্বেষী ওই নামটি সামনে এনে জলঘোলা করছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়র থাকা, বা না থাকার সঙ্গে বৈশাখীর কোনও যোগ নেই।’’

Advertisement

যোগ কোথায়? ব্যাখ্যা করে মেয়র জানান, ‘‘বৈশাখী ও তাঁর পরিবার আমার বন্ধু। আমাদের বাড়িতে এসেছেন, খেয়েছেন, গল্প করেছেন। রত্নাও (শোভনের স্ত্রী) তাঁর কাছে সাহায্যপ্রার্থী হয়ে গিয়েছিলেন। কেউ সাহায্য নিয়ে ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু যে বিপর্যয়ে বৈশাখী আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আমি তার জন্য কৃতজ্ঞ।’’ রত্নাদেবী অবশ্য শোভনের দাবি নস্যাৎ করে বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে বৈশাখীদের কোনও পারিবারিক বন্ধুত্ব নেই। তিনি নিজেও কখনও বৈশাখীর সাহায্যপ্রার্থী হননি। তৃণমূল নেতৃত্বের মতোই মেয়রের স্ত্রীও চান, তিনি নিজের কাজে যথেষ্ট সময় দিন। রত্নাদেবীর কথায়, ‘‘শোভনবাবু কাজের মানুষ। বিধায়ক, কাউন্সিলর এবং মেয়র হিসেবে এলাকার মানুষের অনেক প্রয়োজন আছে তাঁর কাছে। তিনি কেন নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকবেন?’’

আরও পড়ুন: বৈশাখীর ‘পুনর্বাসন’ চান মেয়র

মেয়র এখন গোলপার্কে একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। বেহালায় পৈতৃক বাড়িতে ফেরার প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘‘ওই বাড়িতে আমার মৃতদেহও পৌঁছবে কি না, আমি জানি না। তবে এটা বলছি, আজ আমি এই যে বসে রয়েছি সেটাও বৈশাখী পাশে না থাকলে হত না। আমার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যেত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement