প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় দার্জিলিঙ নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলে সুপ্রিম কোর্টে জানালেন বিমল গুরুঙ্গ। পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আজ শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছেন গুরুঙ্গের আইনজীবী।
গুরুঙ্গের কৌঁসুলি পি এস পাটওয়ালিয়া আজ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় পাহাড়ে বন্ধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু গুরুঙ্গ প্রাণহানির আশঙ্কায় বৈঠকে যোগ দেননি। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডাকুন। আলোচনা শুরু হোক।’’
পাহাড়ের ঘটনায় সিবিআই-এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এ কে সিক্রির বেঞ্চে গুরুঙ্গের আইনজীবী ফের অভিযোগ তোলেন, গায়ের জোরে বিনয় তামাঙ্গ, অনীপ থাপাদের জিটিএ-র শীর্ষপদে বসানো হয়েছে। বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় গুরুঙ্গকে ফাঁসানো হচ্ছে। মামলা যে মিথ্যে তার প্রমাণ হল, বিভিন্ন এফআইআর-এর ভাষায় একই রকম ব্যাকরণগত ত্রুটি। সেই সব মামলায় বিনয়, অনীপদেরও নাম ছিল। কিন্তু তাঁরা জিটিএ-র পদে বসতে রাজি হওয়াতেই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা
তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ অফিসারদের কাজে লাগিয়ে ওঁদের পরিবারকে ভয় দেখানো হয়েছে। কার্শিয়াং পুরসভার কৃষ্ণা লিম্বুকেও দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি না মানায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এক একটি এফআইআর-এ ৩০-৪০ জনের নাম থাকছে।
কার্শিয়াং-এর মোর্চা নেতা বরুণ ভোজেলের পুলিশি হেফাজতে রহস্যজনক মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পাটওয়ালিয়া। তাঁর যুক্তি, যদি এ সবের নিরপেক্ষ তদন্তই না হয়, তা হলে নিরপেক্ষ বিচার কী ভাবে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি পাল্টা যুক্তি দেন, ‘‘গুরুঙ্গই অশান্তি তৈরি করছেন। তারপর সুপ্রিম কোর্টে এসে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে বলছেন, তা না হলে অশান্তি বাড়বে। উনি দাঙ্গা বাঁধাচ্ছেন। সরকার যা করেছে, মানুষকে সন্তুষ্ট করতে করেছে।’’ আগামী শুক্রবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।