আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
নিউ ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জির কারখানায় আগুন লেগেছে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাশের একটি ওষুধের গুদাম এবং রঙের কারখানাতেও। দু’টি জায়গাতেই প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছেছে ১৩টি দমকলের ইঞ্জিন। পরে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও পৌঁছে যান সেখানে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কারখানার ভিতরে ৪ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালেএই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত তাঁদের খবর জানা যায়নি। আট ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতেই নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্দার ওই গেঞ্জির কারখানায় আগুন লাগে। একটি তিনতলা বাড়ির ভিতরে ওই কারখানাটি। ওই বাড়িতেই একটি ওষুধের গুদাম এবং রঙের কারখানাও রয়েছে। দমকলবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ির ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। এ ছাড়া ওষুধের গুদামে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণে স্যানিটাইজার। রঙের কারখানায় ডিজেলও রাখা ছিল। তা থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে বলে তাঁদের অনুমান। এমনকি সিলিন্ডার ফাটার আওয়াজও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই কারখানার ভিতরে আটকে রয়েছেন ৪ জন শ্রমিক। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখনও বাড়িটির ভিতর ঢুকতে পারেননি দমকলকর্মীরা। বাইরে থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন তারা। অভিযোগ, রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ বিধি সত্ত্বেও কাজ চলছিল ওই কারখানায়।