—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পরীক্ষা শেষের ঘণ্টা পড়ল। উত্তরপত্র জমা দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু পরীক্ষকের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেলেন এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট ক্লাসঘরে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অর্থনীতির উত্তরপত্র মেলাতে গিয়ে ঘাম ছুটল পরীক্ষকদের। শেষে ‘হিসাব কষে’ বার করা হল, কে ওই পরীক্ষার্থী। তার পর প্রায় ২ ঘণ্টা পর ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি বয়েজ় হাই স্কুলে। ওই পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানাল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
মঙ্গলবার ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের অর্থনীতির পরীক্ষা। শিলিগুড়ি বয়েজ় হাই স্কুলে সিট পড়েছিল বরদাকান্ত স্কুলের এক পরীক্ষার্থীর। তিনি পরীক্ষা দিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে বাড়ি চলে যান। পরে খাতা মেলাতে গিয়ে তা বুঝতে পারেন পরীক্ষকেরা। এর পর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষার্থীর বাড়ি খুঁজে গিয়ে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে আনেন শিক্ষকেরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ওই পরীক্ষার্থীর অর্থনীতির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ২ ঘণ্টা পর খাতা উদ্ধার করে আনা হয়েছে। কিন্তু যে হেতু এত ক্ষণ তাঁর কাছে খাতা ছিল, সেটা আর গ্রহণীয় নয়।’’ সভাপতির সংযোজন, ‘‘ভুল করে হোক কিংবা ইচ্ছাকৃত, এই ভুলের সংশোধন নেই। তবে ওই পরীক্ষার্থী অন্য পরীক্ষাগুলিতে বসতে পারবেন।’’ পাশাপাশি, এ নিয়ে পরীক্ষকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন মুর্শিদাবাদের সুতির ছাবঘাঁটি কেডি বিদ্যাপীঠ এবং শমসেরগঞ্জের পঞ্চগ্রাম আইএসএ হাই স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা। সেখানে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ক্লাসরুমে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন। রুবিয়ার সঙ্গে আরও আট-দশ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন জেলা সভাধিপতি মোবাইলে ভিডিয়ো করেন। সেটা আবার নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়েও পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এ বার প্রায় ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে বসছেন। রাজ্যের নানা প্রান্তে মোট ১৭৬টি সংবেদনশীল কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই তালিকায় রয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক কেন্দ্র।