ইনস্পেকশন কারে ধাক্কা মারে শেওড়াফুলি লোকাল। —নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুরে ঢোকার মুখে দুর্ঘটনার কবলে শেওড়াফুলি লোকাল। একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ইনস্পেকশন কারে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন জখম হন। যার মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে তাঁদের চিকিত্সা চলছে।
শনিবার বিকাল তখন প্রায় সাড়ে চারটে। রিষড়া ছাড়িয়ে শ্রীরামপুর ঢুকছিল ৩৭০৫৭ আপ শেওড়াফুলি লোকাল। লাইনে মেরামতির তদারকি করতে সেইসময় ওই একই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল একটি ইনস্পেকশন কার। কিন্তু সিগন্যাল সবুজ থাকায় সটান তাতে গিয়ে ধাক্কা মারে লোকাল ট্রেনটি।
ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় ইনস্পেকশন কারটি। তার জেরে হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনে প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বাতিল করতে হয় ১০টি ট্রেন। তবে ইনস্পেকশন কারের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ফের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: অনুজ-জ্ঞানবন্তদের বদলি নিয়ে কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার, অভিযোগ পক্ষপাতিত্বের
আরও পড়ুন: বিজেপিতে এখন ‘ওয়ান ম্যান শো’, ‘টু-ম্যান আর্মি’, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তোপ শত্রুঘ্ন সিন্হার
গোটা ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুর্ঘটনার সময়ে ওই ইন্সপেকশন কারে ৭ কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাঁদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাওড়া অর্থপেডিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দু’জন। গুরুতর জখম অবস্থায় বাকি চারজন ভর্তি বিআর সিংহ রেল হাসপাতালে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লাইনে মেরামতি চলা সত্ত্বেও সিগন্যাল সবুজ ছিল। তাই ওই লাইনে চলে আসে লোকাল ট্রেনটি। তবে শ্রীরামপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতিবেগ কম ছিল, তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই মিলেছে বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেল পুলিশ। তবে কার গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটল, এখনও পর্যন্ত রেলের তরফে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)