হল না ভোটাভুটি, প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা বাতিল

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন দলের সদস্যেরাই। কিন্তু মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত না থাকায় সেই অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি হল না। ফলে, স্বপদে বহাল রইলেন বলাগড় ব্লকের সিজাকামালপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান অজয় দেবাংশী। ওই পঞ্চায়েতের সদস্যসংখ্যা ১৮। সিপিএমের দখলে রয়েছে ১২টি আসন। পাঁচটি তৃণমূলের এবং একটি আসন রয়েছে বিজেপির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৯
Share:

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন দলের সদস্যেরাই। কিন্তু মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত না থাকায় সেই অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি হল না। ফলে, স্বপদে বহাল রইলেন বলাগড় ব্লকের সিজাকামালপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান অজয় দেবাংশী। ওই পঞ্চায়েতের সদস্যসংখ্যা ১৮। সিপিএমের দখলে রয়েছে ১২টি আসন। পাঁচটি তৃণমূলের এবং একটি আসন রয়েছে বিজেপির।

Advertisement

সিপিএম সূত্রের দাবি, অজয়বাবু দলের সদস্য না হলেও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে জিতে প্রধান হন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দলের কিছু সদস্যের বনিবনা হচ্ছিল না বেশ কিছু দিন ধরে। দলের অন্দরেও প্রধানের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধে। মাস কয়েক আগে অস্ত্র-সমেত গ্রেফতার হন অজয়। এর পরে তাঁর সঙ্গে সংস্রব ত্যাগ করেন সিপিএম নেতৃত্ব। এই মর্মে লিফলেটও বিলি করা হয়। এর পরে প্রধানের পদ থেকে অপসারণের জন্য সম্প্রতি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ওই পঞায়েতের ১০ জন সিপিএম সদস্য।

প্রশাসন সূত্রের খবর, অনাস্থায় সই করা ৯ সদস্য বাদে মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে আর কেউ হাজির ছিলেন না। বিডিও রঞ্জিৎ সেনগুপ্ত জানান, আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল। তা না হওয়ায় ভোটাভুটি হয়নি। ফলে, অনাস্থা প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। বোর্ডের অবস্থা একই রইল। অজয়বাবুই প্রধান রইলেন।

Advertisement

সিপিএমের অন্দরের খবর, প্রধান তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করছেন কথা ওঠে। এর পরেই দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। জেলা পরিষদের সদস্য, সিপিএম নেতা পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘উনি দলের সদস্য নন। ওঁর সঙ্গে বর্তমানে দলের কোনও সম্পর্কও নেই। আর পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি নিয়ে দলে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

অজয়বাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘আমাকে পছন্দ হচ্ছিল না বলেই পরিকল্পনা করে অনাস্থা আনা হয়। আসলে সিপিএমের কিছু নেতা পঞ্চায়েতের সর্বত্র কাজের সমবণ্টন হোক তা চাননি। পঞ্চায়েত দফতরকে পার্টি অফিস বানাতে চেয়েছিলেন। তা হতে দিইনি বলেই আমার উপরে ওঁদের রাগ।’’ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অখিল হালদার বলেন, ‘‘নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই সিপিএম সদস্যেরা অনাস্থা এনেছিলেন। এ ব্যাপারে আমরা নিজেদের জড়াতে চাইনি। তাই ভোটাভুটিতে হাজির হইনি।’’

আগুনে পুড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে ধোঁয়াশা দেখা দিল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর শহরের পুরাতনবাজার এলাকায়। এ দিন এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী হরিপদ মাইতির বাড়ির একটি ঘরে আগুন লেগে যায়। দমকলকর্মীরা গিয়ে ওই ঘর থেকেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হরিপদবাবুর প্রথম স্ত্রী জ্যোৎস্না মাইতিকে উদ্ধার করেন। ৬৭ বছরের ওই বৃদ্ধাকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু কী ভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement