সলপ-১

সিপিএমের সমর্থনে দলীয় প্রধানকে সরাল তৃণমূল

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সিপিএমের সাহায্য নিয়ে দলীয় প্রধানকে সরিয়ে দিল তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। প্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সোমবার ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বামেদের দুই পঞ্চায়েত সদস্যর সমথর্ন নিয়ে ১১-০ ভোটে জয়ী হয়। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের সলপ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৭
Share:

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সিপিএমের সাহায্য নিয়ে দলীয় প্রধানকে সরিয়ে দিল তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। প্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সোমবার ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বামেদের দুই পঞ্চায়েত সদস্যর সমথর্ন নিয়ে ১১-০ ভোটে জয়ী হয়। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের সলপ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, সলপ-১ পঞ্চায়েতের ২০ জন সদস্যর মধ্যে ১২ জন তৃণমূলের ও ৮ জন বামেদের। পঞ্চায়েত প্রধান শীলা প্রামাণিকের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই পঞ্চয়েত সদস্য অতনু ঘোষের নেতৃত্বে দলের ৭ জন সদস্য এবং তিন বাম সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান অনিয়মিত ভাবে পঞ্চায়েতে আসেন। ফলে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর বিডিও তমোঘ্ন করের কাছে ওই ১১ জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। এ দিন সেই প্রস্তাবের উপরেই ভোট ছিল।

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোটাভুটিতে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান শেখ নুরুল ইসলাম-সহ মোট তিন তৃণমূল সদস্য এবং ৬ জন বাম সদস্য ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ১১ জনই প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেন। শীলাদেবী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ জড়িত।”

Advertisement

ডোমজুড়ের সিপিএম নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমাদের সদস্যরা তৃণমূলের হুমকির শিকার হয়েছে। ভয়ের কারণেই ওই দুই সদস্য অনাস্থার পক্ষে ভোট দিয়েছে।” প্রধানের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা বিশ্বজিত্‌ পণ্ডিত বলেন, “যাঁরা অনাস্থার পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় তা করেছেন। কোনও জোরের বিষয় নেই।”

জেলা তৃণমূল সভাপতি (শহর) অরূপ রায় বলেন, “ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে সরানোর ক্ষেত্রে অন্যায় হচ্ছে বলে চিঠি পেয়েছিলাম। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তা পাঠিয়ে দিয়েছি। ওঁরাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement