রাস্তা সারাই, পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্তা সারাই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাপড়দহ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাস্তার সামান্য অংশ সারানো হলেও পুরো রাস্তাই সংস্কার হয়ে গিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে এলাকার মানুষ বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। ডোমজুড়ের বিডিও তমোঘ্ন কর বলেন, “একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২৮
Share:

এই ইটের রাস্তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

রাস্তা সারাই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাপড়দহ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাস্তার সামান্য অংশ সারানো হলেও পুরো রাস্তাই সংস্কার হয়ে গিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে এলাকার মানুষ বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। ডোমজুড়ের বিডিও তমোঘ্ন কর বলেন, “একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে।”

Advertisement

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ডোমজুড়ের কেশবপুরের নিজবাড়ি এলাকায় সুব্রত কুমারের বাড়ি থেকে জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়ি পর্যন্ত ইটের ওই রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে বলে সংশিষ্ট পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই থেকে ওই রাস্তার কাজ হয়েছে। এর জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে এক লক্ষ ৬ হাজার ৭৮৯ টাকা খরচ হয়েছে। এই তথ্য জানার পরেই ক্ষোভ দেখা দেয় এলাকায়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা গণসাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেন বিডিওর কাছে। সেখানে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, প্রায় ১০০ ফুট দীর্ঘ ওই রাস্তার সামান্য কিছু অংশের কাজ হয়েছে। সেখানে পুরনো ইট তুলে নতুন করে ইট পাতা হয়েছে। বাকি অংশে শুধু বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর জন্য প্রায় এক লক্ষ ৭ হাজার ৫৭৬ টাকা এবং অন্যান্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে। যে অংশটুকু সংস্কার হয়েছে তাতে ওই পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে না। ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা হারা ঘোষ, তনুশ্রী ঘোষ, প্রশান্ত ঘোষের বক্তব্য, “রাস্তা সারাইয়ের নামে দুর্নীতি হয়েছে। বিষয়টি বিডিওকেও জানানো হয়েছে। আমরা চাই, প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” রাস্তা সারাই নিয়ে বাসিন্দাদের দুর্নীতির ্ভিযোগ নিয়ে দক্ষিণ ঝাপড়দহ পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর বর্মণ বলেন, “কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি। রীতিমত টেন্ডার ডেকে ওই কাজ হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement