মাদার ডেয়ারিতে সিটুর কাছে হার আইএনটিটিইউসি-র

ডানকুনির মাদার ডেয়ারি প্ল্যান্টে প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টিতে শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচনে আইএনটিটিইউসি-কে হারিয়ে দিল সিটু। সোমবার ভোট হয়। ৬টি আসনের মধ্যে একটিও পাননি তৃণমূল প্রভাবিত আইএনটিটিইউসি প্রার্থীরা। তাঁদের তিন প্রার্থীর মনোনয়ন অবশ্য আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৪
Share:

ডানকুনির মাদার ডেয়ারি প্ল্যান্টে প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টিতে শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচনে আইএনটিটিইউসি-কে হারিয়ে দিল সিটু। সোমবার ভোট হয়। ৬টি আসনের মধ্যে একটিও পাননি তৃণমূল প্রভাবিত আইএনটিটিইউসি প্রার্থীরা। তাঁদের তিন প্রার্থীর মনোনয়ন অবশ্য আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব।

Advertisement

কারখানা সূত্রের খবর, প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টিতে নিয়ম অনুয়ায়ী কর্তৃপক্ষের ৬ জন এবং শ্রমিকদের ৬ জন প্রতিনিধি থাকেন। ট্রাস্টির মেয়াদ ৫ বছর। আগে সিটু বাদে অন্য কোনও শ্রমিক সংগঠন ছিল না। ফলে এত দিন নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। ২০১১ সালে আইএনটিটিইউসি অনুমোদন পাওয়ায় সেখানে চিত্র বদলায়। যদিও ভোটের ফলে তার প্রভাব পড়েনি।

প্রথমেই আইএনটিটিইউসি-র ৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভোট স্থগিত করার আবেদন জানানো হয় ওই সংগঠনের তরফে। আবেদনে অবশ্য কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। ফলে শুরুতেই ৩টি আসনে পিছিয়ে পড়ে রাজ্যের শাসকদল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। সংগঠনের নেতা লক্ষ্মীকান্ত ঘোষের অভিযোগ, ‘‘তুচ্ছ কারণে আমাদের তিনটি মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। অথচ ওঁদের মনোনয়নে ভুলভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তা এড়িয়ে গিয়েছেন। ওঁরা পুরোপুরি সিটুর হয়ে কাজ করলেন। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। তাই আমরা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিই।’’ অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন কারখানার সিটু নেতা বঙ্কিম নায়েক, তারকনাথ দত্তরা। তাঁদের দাবি, ‘‘ন্যায্য কারণেই ওঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গেই আছেন এটা বুঝে ওঁরা ভোট বানচাল করতে চেয়েছিল।’’

Advertisement

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিপিএম নিজেদের পেটোয়া লোকদের ওখানে কাজ পাইয়ে দেয়। তাঁরা ডেয়ারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজস করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আগে ওখানে আমাদের কোনও কর্মসূচি পালন করতে দিত না ওঁরা। এখন কিন্তু আমাদের শক্তি বেড়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচনেই ওঁরা জবাব পাবেন।’’

তৃণমূলের অভিযোগ মানেননি ডেয়ারি কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক পদস্থ কর্তা জানান, নির্বাচন নিয়ম মেনেই হয়েছে। পুর বিষয়টি দফতরের বিভাগীয় মন্ত্রী জানেন। তাঁর অনুমতি সাপেক্ষেই সবকিছু হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement