মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার পাঁচঘরায়।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডুয়ার তিন্না পঞ্চায়েতের পাঁচঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের চাল দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় কিছু চালে পোকা লেগে নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যাওয়া সেই চালের সঙ্গে ভাল চাল থাকার ফলে তাতেও পোকা লাগার আশঙ্কা ছিল। বুধবার বিকালে স্কুল ছুটির পর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক একটি ছোট ট্রাকে ওই পোকা লাগা চাল পাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। স্কুলের সমস্ত আলো বন্ধ করে যখন ট্রাকে চালের বস্তা তোলা হচ্ছে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁদের নজরে আসে স্কুল থেকে চালের বস্তা বের করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এর পর আশপাশের গ্রামের লোক ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে স্কুলবাড়ি ঘিরে ফেলেন। গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রধান শিক্ষক ট্রাক থেকে চালের বস্তা নামিয়ে ফের স্কুলের ঘরে রাখতে শুরু করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষক এবং বস্তা তোলার কাজ করতে থানা তিনজনকে আটকে মারধর শুরু করে। ট্রাকটিও ভাঙচুর করা হয়। গাড়ির চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকে। ইটের ঘায়ে একজন পুলিশকর্মী আহত হন। এরপর মগরার সার্কেল ইনেসপেকটার ইন্দ্রজিত পাল এবং পান্ডুয়ার থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে স্কুলের মধ্যে থেকে তিন কর্মীকে উদ্ধার ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পাণ্ডুয়ার বিডিও নবনীপা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ আমার কাছে একটা অভিযোগ করেছেন। তা ছাড়া পুলিশও এই ঘটনায় মামলা শুরু করেছে। আমার হাতে সব রিপোর্ট পৌছলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মগরার সিআই ইন্দ্রজিৎ পাল বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে। তদন্তের জন্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’