বধূহত্যার দায়ে স্বামী-শ্বশুরের যাবজ্জীবন

শ্বাসরোধ করে এক গৃহবধূকে খুনের দায়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দিল আদালত। বুধবার শ্রীরামপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) সুমিত্রা রায় শেওড়াফুলির কৌশিক এবং তার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র সাঁধুখাকে ওই সাজা শোনান। ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়ি থেকে কৌশিকের স্ত্রী রোশনি ওরফে তুলির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩৫
Share:

শ্বাসরোধ করে এক গৃহবধূকে খুনের দায়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দিল আদালত। বুধবার শ্রীরামপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) সুমিত্রা রায় শেওড়াফুলির কৌশিক এবং তার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র সাঁধুখাকে ওই সাজা শোনান। ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়ি থেকে কৌশিকের স্ত্রী রোশনি ওরফে তুলির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০০২ সালের নভেম্বর মাসে সিঙ্গুরের নতুন বাজারের তরুণীর রোশনির সঙ্গে শেওড়াফুলির বাসিন্দা কৌশিকের বিয়ে হয়। বিয়েতে নগদ যাকা, সোনাদানা-সহ যথেচ্ছ যৌতুক দেন ওই তরুণীর বাপের বাড়ির লোক। তাঁদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাড়তি পণের দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ওই বধূর বাবা কিঙ্কর সাঁধুখা বলেন, “সিঙ্গুরের নতুন বাজারে আমার মুদি দোকান রয়েছে। সেটি জামাইয়ের নামে লিখিয়ে দেওয়ার জন্য ওরা মেয়েকে চাপ দিত। মেয়ে আমাদের কাছে অত্যাচারের কথা বললেও মুখ বুজে সংসার করতে বলতাম। ভেবেছিলাম, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু এর উল্টোটা যে ঘটবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। মেয়েকে ওরা বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে।”

তিনি জানান, ঘটনার দিন মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে ফোনে খবর দিয়ে জানানো হয় যে, রোশনি গুরুতর অসুস্থ। তিনি এসে দেখেন, মেয়ে বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই সন্ধ্যায় কৌশিকদের বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিঙ্করবাবু শ্রীরামপুর থানায় মেয়েকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর, জা, ননদের বিরুদ্ধে। ময়না-তদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে ওই বধূকে খুন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার (বর্তমানে চাকদহ থানার আইসি) তারকেশ্বর মুখোপাধ্যায় আদালতে চার্জশিট জমা করেন। আদালতে খুনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। শুনানির পরে বিচারক মঙ্গলবার কৌশিক এবং কৃষ্ণচন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক সুমিত্রা রায়। মামলার সরকারি আইনজীবী মহম্মদ মুশা মল্লিক বলেন, “পনের জন্য খুনের দায়ে বিচারক অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। বিশ্বাসভঙ্গের জন্য কৌশিককে আরও ২ বছর কারাদন্ডের সাজা ভোগ করতে হবে।” অন্য অভিযুক্তরা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান বলে সরকারি আইনজীবী জানান।

Advertisement

এ দিন রায় শুনে কিঙ্করবাবু বলেন, “মেয়েকে আর ফিরে পাব না। তাই আনন্দের কোনও ব্যাপার নেই। তবে, মেয়ের খুনিরা সাজা পেল, এতেই আমি খুশি। আর কোনও বাবা-মায়ের যেন আমাদের মতো কণ্যাহারা হতে না হয়।”

দুর্ঘটনায় আহত। মোটরবাইকের ধাক্কায় এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁর বাড়ি পুঞ্চার দামোদরপুর গ্রামে। বুধবার সকালে পুঞ্চা-পুরুলিয়া রাস্তায় দামোদরপুর গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় চডা শবরকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement