বাড়িতে বেআইনি ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে সোমবার সকালে আরামবাগ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মুরারীমোহন বেরাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার আগে রবিবার রাতে আরামবাগের সালেপুর গ্রামে মুরারীমোহনবাবুর বাড়ি থেকে একটি পাইপগান ও চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময়ে মুরারীমোহনবাবু বাড়িতে ছিলেন না। সোমবার সতীতলা এলাকা থেকে পেশায় প্রথমিক স্কুলের শিক্ষক ওই বিজেপি নেতাকে ধরা হয়।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় গ্রামবাসীরা বাড়িটি ঘিরে রেখে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে সোমবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন মুরারীমোহনবাবু। পুলিশ জানায়, ধৃতের দাবি, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বেই চক্রান্ত করে তাঁর বাড়িতে ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র ঢোকানো হয়। একই সুরে বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি অসিত কুণ্ডুর অভিযোগ, “বর্ধমানে দলের সভাপতি অমিত শাহের সভায় কারও যাওয়া চলবে না বলে তৃণমূলের ফতোয়া ছিল। দলের কর্মী-সমর্থকেরা যাতে বিচলিত না হন সে বিষয়ে তত্পর ছিলেন মুরারীবাবু। তারই জেরে তাঁর অবর্তমানে বাড়িতে চড়াও হয়ে নোংরামি করল তৃণমূলের ছেলেরা।”
এ অভিযোগ অবশ্য মানেননি আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। তাঁর দাবি, “পুলিশের কাছে তল্লাশির দাবি জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কখনও দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে, কখনও সভা-সমাবেশ নিয়ে দিন তিনেক ধরে সালেপুরে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। শনিবার রাতে মুরারীমোহনবাবুর বাড়ি-সহ এলাকার কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি এবং তাঁদের মারধরেরও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।