পঞ্চায়েতের লাল ভবনে সাদা পোঁচ, সিপিএম-তৃণমূূল তরজা

ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে সদ্য লাল রং করা পঞ্চায়েত ভবনের গায়ে পড়ে গেল অসংখ্য সাদা পোঁচ। রবিবার সকালে দুই চেহারায় দেখা গেল হুগলির চণ্ডীতলা-১ ব্লকের মশাট পঞ্চায়েত ভবনকে। তৃণমূল নেতাকর্মীরাই তাদের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতে এ দিন ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সিপিএম পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন মিছিলও করে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মশাট শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৯
Share:

চলছে লাল রং মোছার কাজ। ছবি: দীপঙ্কর দে।

ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে সদ্য লাল রং করা পঞ্চায়েত ভবনের গায়ে পড়ে গেল অসংখ্য সাদা পোঁচ।

Advertisement

রবিবার সকালে দুই চেহারায় দেখা গেল হুগলির চণ্ডীতলা-১ ব্লকের মশাট পঞ্চায়েত ভবনকে। তৃণমূল নেতাকর্মীরাই তাদের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতে এ দিন ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সিপিএম পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন মিছিলও করে তারা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, লাল রং করে সিপিএম পঞ্চায়েত ভবনকে তাদের দলীয় কার্যালয় বানানোর চেষ্টা করেছিল। সিপিএম ভবনের গায়ে তাদের দলীয় প্রতীকও এঁকে দিয়েছিল। সেই চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূূলের দাবি। বিডিওর কাছে সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা নালিশ জানিয়েছে তৃণমূলও।

১৭ আসনের ওই পঞ্চায়েতে সিপিএমের দখলে রয়েছে ১২টি আসন। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভবন রং করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েক দিন ধরে ভবনটিতে রং করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ চণ্ডীতলা-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের সঞ্জীব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কয়েক জন বালতি, ব্রাশ, মই নিয়ে পঞ্চায়েত ভবনের সামনে জড়ো হন। তাঁরাই ভবনের লাল রঙের উপরে সাদা পোঁচ দিয়ে দেন।

Advertisement

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের বিকাশ পাল বলেন, ‘‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আগে অধিকাংশ প্রশাসনিক ভবনে যে রং হত, সেই রং করা হবে। কিন্তু ওরা (তৃণমূল) হয়তো ভেবেছে যে আমরা দলের রং ব্যবহার করেছি। আসলে ওরা নীল-সাদা রং করতে চেয়েছিল।” আজ, সোমবার পঞ্চায়েতে আলোচনা করে এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলেও তিনি জানান।

তৃণমূল নেতা সঞ্জীববাবুর দাবি, “পঞ্চায়েত ভবনটাকে ওরা দলীয় কার্যালয় বানাতে চেয়েছিল। শুধু গাঢ় লাল রং করাই নয়, ভবনের দেওয়ালে সিপিএমের প্রতীক পর্যন্ত আঁকা হয়েছিল। সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এখন ওরা সাধু সাজতে চাইছে। আমরা ওদের অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রুখে দিয়েছি।”

বিডিও পৃথ্বীশকুমার সামন্ত জানান, দু’পক্ষই মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement