থানায় হানার ঘটনায় ধৃত নেতা-সহ দু’জন

বছর দু’য়েক আগে ধনেখালিতে পুলিশ হেফাজতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কাজি নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুর প্রতিবাদে থানায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে এক কংগ্রেস নেতা এবং এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ধনেখালি থেকেই বিভাস কুমার নামে ওই কংগ্রেস নেতা এবং মহরম আলি নামে বিজেপি সমর্থককে ধরা হয়। ধৃত দু’জনেরই দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে তাঁদের ধরা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধনেখালি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

বছর দু’য়েক আগে ধনেখালিতে পুলিশ হেফাজতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কাজি নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুর প্রতিবাদে থানায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে এক কংগ্রেস নেতা এবং এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ধনেখালি থেকেই বিভাস কুমার নামে ওই কংগ্রেস নেতা এবং মহরম আলি নামে বিজেপি সমর্থককে ধরা হয়। ধৃত দু’জনেরই দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে তাঁদের ধরা হয়েছে।

Advertisement

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ধনেখালি থানার পুলিশ হেফাজতে নাসিরুদ্দিন মারা যান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পরের দিন সকালে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ নাসিরুদ্দিনকে পিটিয়ে মেরেছে অভিযোগ তুলে থানায় ভাঙচুর চালায় জনতা। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হন। শেষে লাঠি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলাতেই ওই দু’জনকে ধরা হল বলে পুলিশ জানিয়েছে। কাজি নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সম্প্রতি সিবিআই চুঁচুড়া আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। ধনেখালির তৎকালীন ওসি বরুণ ঘোষ-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মীর নাম রয়েছে চার্জশিটে।

পুলিশ সূত্রের খবর, থানায় লাগানো সিসিটিভি-র ফুটেজ থেকে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, ফুটেজে ধৃত দু’জনেরই ছবি রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের উপরে হামলা, সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ আানা হয়েছে। শুক্রবার ধৃত দু’জনকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করা হয়। দু’জনকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে এ দিন বিভাস এবং মহরম দু’জনেই দাবি করেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই ঘটনার এত দিন পরে আমাদের গ্রেফতার করা হল।” তাঁদের প্রশ্ন, “কয়েকশো মানুষ তো সে দিন স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বেছে বেছে আমাদের ধরা হল কেন?”

Advertisement

এ দিন আদালত চত্বরে অবশ্য কোনও কংগ্রেস নেতাকে দেখা যায়নি। কংগ্রেস আগাগোড়া সে দিনের ঘটনা গ্রামবাসীদের এক ‘স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ’ বলে দাবি করেছে। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “রাজনৈতিক চক্রান্ত করেই বিভাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” একই দাবি জেলা বিজেপি নেতা স্বপন পালেরও। তাঁর কথায়, “শাসক দলের নির্দেশেই পুলিশ যা খুশি তাই করছে।” তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement