যকৃতের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এক রোগীর দেহ মিলল কিছুটা দূরের মাঠ থেকে। খানাকুলের মাইনানের বাসিন্দা স্বপন দলুই (৪৭) নামে ওই রোগীকে গত বুধবার খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সকালে তাঁর দেহ মেলে হাসপাতাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উবিদপুর গ্রামের মাঠে। তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।
হাসপাতালের সুপার তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিন্দম ঘোষ দস্তিদার বলেন, “হাসপাতালের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনও নিরাপত্তা কর্মী নেই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল ৬টা নাগাদ খোলা হয়। কখন কী ভাবে ওই রোগী হাসপাতাল থেকে চলে গেলেন বা এর পিছনে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনও অবহেলা ছিল কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও স্বপনবাবুর বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করে যান। তাঁরা রাতে হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন। কখন কী ভাবে স্বপনবাবু বেরিয়ে যান, তা তাঁরা জানতে পারেননি। শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ কর্তব্যরত নার্স ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে দেখেন স্বপনবাবু শয্যায় নেই। এর পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই উবিদপুর গ্রামের মাঠ থেকে স্বপনবাবুর দেহটি মেলে। তাঁর পরিবারের লোকজন গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানান।
স্বপনবাবুর জামাই পরিতোষ ঘাঁটা বলেন, “রোগী হাসপাতাল থেকে কী ভাবে বেরিয়ে গেলেন তার কোনও ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টির পূর্ণ তদন্ত চেয়েছি।”
বইয়ের টানে। ডোমকল বইমেলায় বিশ্বজিত্ রাউতের তোলা ছবি।