Cannabis

ইমারতি ব্যবসার আড়ালে গাঁজার কারবার, ধৃত যুবক

রাহুল জয়সওয়াল নামে ওই যুবকের বাড়ি এবং গাড়ির ভিতর থেকে মোট ৭১ কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈদ্যবাটী শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

উদ্ধার: এই বাড়ির গ্যারাজ থেকে মিলেছে গাঁজা। নিজস্ব চিত্র

ইমারতি ব্যবসার আড়ালে চলছিল গাঁজার কারবার। এই অভিযোগে এক যুবককে বমাল গ্রেফতার করল পুলিশ। তার সঙ্গেই ওই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ধরা পড়েছে আরও তিন জন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলির বৈদ্যবাটী শহরের এনসি ব্যানার্জি রোডের ঘটনা।

Advertisement

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) ঈশানী পাল জানান, রাহুল জয়সওয়াল নামে ওই যুবকের বাড়ি এবং গাড়ির ভিতর থেকে মোট ৭১ কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাড়িটিও আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, বছর পঁয়ত্রিশের রাহুল বছর কয়েক ধরে বাড়ির সামনেই ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করছিল। এর পাশাপাশি গাঁজার কারবারও চালাচ্ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত লোকজন তার কাছে আসত। লক্ষ লক্ষ টাকার গাঁজা লেনদেন হত। বেশ কিছু দিন ধরে পুলিশ তার উপরে নজর রাখছিল।

Advertisement

কমিশনারেটের এসিপি-২ বিজয়কৃষ্ণ মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী সোমবার রাতে রাহুলের বাড়িতে হানা দেয়। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বাড়ি এবং তার উল্টোদিকেই রড রাখার গুদামের পাশে গাড়ির গ্যারাজ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গ্যারাজে রাহুলের গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। গাড়ির ভিতরে পেটিতে গাঁজা রাখা ছিল। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই গাড়িতে করে গাঁজা পাচার করা হত বলেও তদন্তকারীদের দাবি।

গাঁজার কারবারের জন্য তার কাছে আসার অভিযোগে অভিজিৎ মজুমদার, শুভঙ্কর দে এবং ত্রিদিবরঞ্জন দাস নামে আরও তিন জনকে ধরা হয়। বছর চব্বিশের অভিজিৎ বৈদ্যবাটী কাজিপাড়ার ধানমাঠ এলাকার বাসিন্দা। শুভঙ্কর এবং ত্রিদিব মাঝবয়সী। শুভঙ্কর সিঙ্গুরের বড়ার চাঁপাতলায় থাকে। ত্রিদিবের বাড়ি চন্দননগরে। কমিশনারেটের আধিকারিকদের দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য ৭-৮ লক্ষ টাকা। আজ, বুধবার রাহুল-সহ ধৃত চার জনকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন আগেই রাহুল গাঁজার কারবারে জড়ায়। গাঁজা ব্যাবসায় যুক্ত থাকায় অভিযোগে বছর কয়েক আগে সিঙ্গুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ২০১৫ সালের জুন মাসে বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীরা রাহুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার গাড়িতে লাগে। সেই সময়ে পুলিশ জানিয়েছিল, ব্যবসায়িক বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছরেই বড়া তেলিয়া মোড়ে এক হোটেল ব্যাবসায়িকে গুলি করে খুনের ঘটনায় তার নাম জড়ায়। গ্রেফতারও হয়। জামিনে ছাড়া পায়। তার পর ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা শুরু করে।

সোমবার রাতে গুড়াপ থানার পুলিশ শেখ রাজু নামে এক দুষ্কৃতীকে ২৫ কেজি গাঁজা-সমেত গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ওই গাঁজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা। পুলিশের এক কর্তা জানান, রাজুর নামে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement