কেউ চান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জন্য ভোট দিতে। কেউ আবার ভোট দেবেন উন্নয়নের স্বার্থে। ভোটার তালিকায় নাম ওঠার পরে এ বারই প্রথম উলুবেড়িয়া পুরসভা নির্বাচনে ভোট দেবেন এঁরা। এঁদের কেউ ছাত্র, কেউ বা দোকানের কর্মচারী। কিন্তু সকলেরই বক্তব্য, তাঁরা ভোট দিতে অবশ্যই যাবেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জন্য ভোট দেবেন শতাব্দী লাঙল। উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শতাব্দীর বক্তব্য, ‘‘নাগরিক হিসাবেই আমি রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। পুরসভার বোর্ডে এমন একজন সদস্য নির্বাচন করতে চাই যিনি এলাকার উন্নয়ন করবেন। কোনও সমস্যা হলে তাঁর কাছে গেলে তিনি আমাদের কথা শুনবেন এবং তা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। রাজনৈতিক স্বার্থ নয়, যাঁর কাছে নাগরিকদের উপযুক্ত পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া যায় সেটাই সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে।’’
বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপ্পা মাইতি এবার প্রথম ভোট দিচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভোট নিয়ে তাঁর উত্তেজনা রয়েছে। তবে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আলাদা কোনও বক্তব্য নেই। তাঁর কথায়, ‘‘সবাই ভোট দেয়। এ বার আমিও দেব। এবং তা নিজের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতেই।’’ তবে এলাকার উন্নয়নই তাঁর ভোটদানের মূল লক্ষ্য তা জানাতে ভুললেন না।
বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তথা ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমরোজ সোহেলও ভোট দেওয়াকে গণতান্ত্রিক দেশে বসবাসকারী হিসাবে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। দেশ আমাকে আমার গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছে। ভোটদানও একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার প্রয়োগের জন্যই ভোট দেব।’’
২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় পেশায় দোকানের কর্মচারী। তিনিও এবার প্রথম ভোট দিচ্ছেন। সঞ্জয়বাবুর কথায়, ‘‘ভোট অবশ্যই দেব। ভোট দেওয়া আমাদের জাতীয় কর্তব্য। তাই ভোট দেব।’’
পেশায় দোকানের কর্মী ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেখ শামিম রহমান ভোট দেবেন সবাই ভোট দেন বলেই। বললেন, ‘‘সবাই ভোট দেয়। তাই আমিও ভোট দেব। গণতান্ত্রিক দেশে থাকি। ভোট দিতেই হবে। ভোট দেওয়া আমার অধিকারও বটে।’’ ভোটের দিন সকাল সকাল বুথে যাবেন বলে জানালেন তিনি।