প্রতারণার অভিযোগে সোমবার দুই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করল শ্যামপুর থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও নিমাই মণ্ডল। সুপ্রিয়র বাড়ি শ্যামপুরের রামনগরে ও নিমাইয়ের বাড়ি শ্যামপুরেরই মোহনপুরে। প্রতারণা ছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে ওষুধ দিয়ে মানুষের ক্ষতি করা, চক্রান্ত-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁদের উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে ৪ দিন পুলিশি হেফাজত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামপুরের গড়চুমুকের বাসিন্দা সুদর্শন ধাড়া প্রায় কয়েক বছর ধরে গোটা শরীরে জ্বালা, যন্ত্রনায় ভুগছিলেন। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি তাঁর। শেষমেশ মাস আটেক আগে সুপ্রিয়র কাছে যান তাবিজ-কবচ করাতে। তিনি প্রথমে কিছু তাবিজ কবচ ও ওষুধপত্র দেন। তাতে কাজ না হওয়ায় মাস খানেক পরে ফের তিনি সুপ্রিয়র কাছে যান। তার পরেও বেশ কয়েকবার তিনি তাঁর কাছে যান। কিন্তু রোগ ভাল হওয়া তো দূর অস্ত, রোগ ক্রমশ বাড়তে থাকে সুদর্শনবাবুর। অভিযোগ, মাস ছ’য়েক আগে সুপ্রিয় তাঁকে তারাপীঠে যজ্ঞ করার পরামর্শ দেন। এ জন্য ৬ হাজার টাকা দাবি করেন সুপ্রিয়। সুদর্শনবাবুর দাবি, ‘‘সুপ্রিয়র কথা মতো তাকে ছ’হাজার টাকা দিই। এর পরেও রোগ সারেনি। মাস খানেক আগে সুপ্রিয় তার তান্ত্রিক বন্ধু নিমাইয়ের কাছে পাঠায়। প্রথমের দিকে নিমাই সুপ্রিয়র মতোই কথা বলে। শেষে ফের তারাপীঠে যজ্ঞের জন্য ছ’হাজার টাকা চায়।’’ এর পরেই সন্দেহ হওয়ায় সুদর্শনবাবু কৌশলে বরিবার বাড়িতে ডাকেন সুপ্রিয়দের। তাঁরা বাড়িতে এলে সুদর্শনবাবুরা টাকা ফেরত চান। শেষে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ তাঁদের সোমবার গ্রেফতার করে।