মিলছে না ওবিসি শংসাপত্র, দুর্ভোগ

নিয়ম হল, আবেদন করার এক মাসের মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেট (শংসাপত্র) দেওয়া হবে। কিন্তু হাওড়ার বাস্তব ছবি অনেকটাই আলাদা। অভিযোগ, আবেদনের পরও তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেট সার্টিফিকেট পেতে গড়িয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

নিয়ম হল, আবেদন করার এক মাসের মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেট (শংসাপত্র) দেওয়া হবে। কিন্তু হাওড়ার বাস্তব ছবি অনেকটাই আলাদা। অভিযোগ, আবেদনের পরও তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেট সার্টিফিকেট পেতে গড়িয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস। এ দিকে সময়মতো সার্টিফিকেট না পাওয়ার ফলে আবেদনকারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

কেন এই বেহাল দশা?

হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এর জন্য দায়ী মূলত কর্মীর অভাব। জেলার প্রতিটি ব্লকে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য পৃথক বিভাগ আছে। আবেদনপত্র যাচাই করে এই বিভাগই সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন এই বিভাগের উপরে বিভিন্ন কাজের ভার চাপানো হচ্ছে। ‘সবুজ সাথী প্রকল্প’-এর সাইকেল বিলির কাজের তদারকি থেকে শুরু করে শিশুসাথী, কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী প্রভৃতি নানা কাজের দায়িত্ব চাপানো হয়েছে এই বিভাগের উপরে। অথচ সেই কাজ করার মতো পর্যাপ্ত কর্মী নেই বলে অভিযোগ খোদ দফতরের কর্মীদেরই।

Advertisement

এই বিভাগে একজন ইন্সপেক্টর সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ করতেন। পরে বিভিন্ন দায়িত্ব এই বিভাগের ঘাড়ে চাপানোর পরে একজন করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করা হয় ওই ইন্সপেক্টরদের সহায়তা করার জন্য। তাতেও নির্দিষ্ট সময়ে সার্টিফিকেট দেওয়া যায়নি। মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘায়ের মতো, এ বছরের ৩১ মার্চের পর থেকে বিভিন্ন ব্লকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে গিয়েছে।

জগৎবল্লভপুর, আমতা-২, শ্যামপুর-২ প্রভৃতি ব্লকে যেখানে সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে ওইসব ব্লক প্রশাসনের কর্তারাই স্বীকার করেছেন। এমনকী অনেক আবেদনকারীর অভিযোগ, এই সার্টিফিকেট না পাওয়ায় সরকারি চাকরির সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে। আমতা-২ এর বাসিন্দা শ্রীমন্ত মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘২০১৬ সালের ৩ অগস্ট তফসিলি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখনও সেটা হাতে পেলাম না।’’

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, বছর দুয়েক আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রতিটি ব্লকে অতিরিক্ত একজন করে ইন্সপেক্টর স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। একজনের জায়গায় দুজন ইন্সপেক্টর কাজ করবেন। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্র তাঁরা কাজে যোগ দেবেন। ফলে সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে। হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement