—প্রতীকী ছবি
হাওড়ার বাসিন্দাদের আইনি সহায়তা দিতে সেখানে আলাদা করে আইনি সহায়তা কেন্দ্র বা বিকল্প বিবাদ নিষ্পত্তি কেন্দ্র চালু হল।
আইনজীবীরা মনে করছেন, এর ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধাই হবে। কারণ ছোট-বড় নানা ধরনের আইনি পরামর্শের জন্য মানুষকে এত দিন হাওড়া আদালতেই ছুটতে হত। আইনি পরামর্শের নয়া এই ভবন শনিবার চালু হওয়ার পরে এ বার থেকে আর হাওড়া আদালতে ছুটতে হবে না সেখানকার বাসিন্দাদের। এত দিন হাওড়া আদালতে আইনি সহায়তার কাজ হলেও তার জন্য একটি মাত্র ঘরই বরাদ্দ ছিল।
এ দিন হাওড়ার জেলাশাসকের বাংলোর পাশে ওই কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন
কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও সুব্রত তালুকদার।
আইনজীবীরা মনে করছেন, এমন অনেক সমস্যা রয়েছে যার জন্য আদালতে আসার প্রয়োজন পড়ে না। আইনি পরামর্শেই তা মিটিয়ে ফেলা যায়। লোক আদালতের মতোই এই কেন্দ্রে বসেই আইনজীবীরা পরামর্শ দেবেন। তাতে অনেক সমস্যারই সমাধান হবে বলে আশাবাদী আইনজীবীরা। এক আইনজীবীর মতে, দেওয়ানি এবং ফৌজদারি, উভয় ধরনের ঘটনাতেই অনেক ক্ষেত্রে দুই পক্ষ মুখোমুখি বসে বিষয়টি
মিটিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু উপযুক্ত আইনি সহায়তা না পাওয়ায় ঘটনা মামলা হয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে মামলার শুনানিতে দেরি হওয়ায় মানুষের বিচার পেতে দেরি হয়ে যায়। তাই এই ধরনের আইনি সহায়তা কেন্দ্র যত তৈরি হবে, তাতে মানুষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করছেন আইনের কারবারিরা।
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই তেতলা ভবনটি তৈরি হয়। তিন কাঠা জমির উপরে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ভবনটি করা হয়েছে। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলা জজ শম্পা দত্ত পাল। তিনি জানান, এত দিন হাওড়া আদালতেরই একটি ঘরে আইনি সহায়তা দেওয়া হত। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকাতেই এই নতুন ভবন তৈরি করা হল। এ ছাড়া এ দিন অনুষ্ঠানে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।