পলাতক তৃণমূলের তিন নেতা

সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ

বৃহস্পতিবার রাতে গোঘাটের বেঙ্গাই চৌমাথার এই ঘটনা য় জখম হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় নামে প্রৌঢ়কে প্রথমে ভর্তি করানো হয়  কামারপুকুর ব্লক হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পুরনো একটি মারধরের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠস তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে গোঘাটের বেঙ্গাই চৌমাথার এই ঘটনা য় জখম হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় নামে প্রৌঢ়কে প্রথমে ভর্তি করানো হয় কামারপুকুর ব্লক হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রহৃতের পরিবারের তরফে চন্দন দুলে, প্রদীপ দুলে সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই চণ্ডীবাটি গ্রামের দুলে পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের পক্ষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা চন্দন দুলে অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ জানুয়ারি তারকেশ্বর থেকে গোঘাটের কামারপুকুর পর্যন্ত বামেদের পদযাত্রা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। সেই মিছিলে যোগ দেওয়া নিয়ে স্থানীয় সেনাই গ্রামের সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অসিত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাঙচুর ও নরসিংহবাটির নেতা হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল তিন নেতার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত মঙ্গলবারই জামিন পান তিনজন। হরেকৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, ‘‘পুরনো অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মারধর এবং খুনের হুমকি দিচ্ছিল চন্দন দুলে, প্রদীপ দুলেরা। ওদের হুমকিতে গুরুত্ব না দেওয়াতেই বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ওরা মারল।’’

Advertisement

গোঘাট সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অরুণ পাত্র বলেন, “তৃণমূলের কাছে গণতন্ত্র আশা করিনি আমরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ফের মিছিল করব।’’ গোঘাট বিধায়ক তৃণমূলের মানস মজুমদারের সাফাই, ‘‘মারধরের ঘটনা জানা নেই। তৃণমূল সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে বলেই তাঁরা পদযাত্রা করতে পেরেছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement