বিস্তর জলঘোলার পরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তার পরেই দলের এক কাউন্সিলরকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল তারকেশ্বরের উপ-পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে। ওই কাউন্সিলর এবং এ বার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী উত্তম ভাণ্ডারী বিষয়টি লিখিত ভাবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী এবং জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে জানিয়েছেন। সোমবার পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত-সহ দলের অন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও উত্তমবাবু দেননি। ফলে তিনি আদৌ ভোটে দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
চিঠিতে উত্তমবাবু অভিযোগ করেছেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় পদ্মপুকুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে উপ-পুরপ্রধান তাঁকে গালিগালাজ করেন। ‘দেখে নেওয়া’র এবং ‘নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে হারিয়ে দেওয়া’র হুমকি দেন। তিনি বলেন, “দলকে সব জানিয়েছি। দলই বিবেচনা করুক। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
যদিও উত্তম কুণ্ডুর দাবি, “মিথ্যা অভিযোগ। শনিবার সারাদিন মন্ত্রী রচপাল সিংহের সঙ্গে ছিলাম। কোথাও যাইনি।” দলের জেলা সভাপতি তপনবাবু বলেন, “কোনও চিঠি পাইনি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহ এ দিন মনোনয়ন জমা দেন। প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান, অধুনা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা প্রবীর পাল তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। হুগলি-চুঁচুড়ার তৃণমূল পুরপ্রধান গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায়, ডানকুনির পুরপ্রধান হাসিনা শবনম, উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান অদিতি কুণ্ডু, চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল তথা দলের জেলা যুব সভাপতি দিলীপ যাদব, মনোনয়ন জমা দিয়ছেন। সিপিএম, বিজেপি-র তরফেও কিছু মনোনয়ন জমা পড়েছে।
এ দিন শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা পর্বের ছবি তুলতে চিত্র সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক মৃণালকান্তি হালদার বলেন, “বড্ড ভিড় হচ্ছে। সাংবাদিকরা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে কাজের অসুবিধা। তাই আধঘণ্টা বা পৌনে এক ঘণ্টা ছবি তোলার সময় দেওয়া হবে।” তাঁর যুক্তি, কোনও বিশেষ প্রার্থীর ছবি সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তাঁদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। তাই, নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ছবি তুলতে হবে।