অবৈধ: এভাবেই জমানো হয়েছে বালি। নিজস্ব চিত্র
দ্বারকেশ্বর নদের পাড় ঘেঁসে বালি লুঠের অভিযোগ উঠল আরামবাগের পারআদ্রা, কীর্তিচন্দ্রপুর এবং ভাবাপুর মৌজায় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বৈধ বালি খাদগুলো বর্ষায় বন্ধ হলেও কিছু তৃণমূল নেতার মদতে প্রায় দেড়শো গরু এবং মোষের গাড়ি ভাড়া করে যথেচ্ছ বালি লুঠ হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, নদী পাড়ের গা থেকে বালি তোলায় বর্ষায় নদীর জলের তোড়ে পাড় ভেঙে পাশাপাশি ৪-৫টি গ্রাম জলমগ্ন হবে। গরু বা মোষের গাড়িতে করে তোলা ওই সব বালি বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করে ব্যবসা চালান তৃণমূল ঘনিষ্ঠরা। যেমন কীর্তিচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চত্বরে চার ব্যবসায়ী বালি রাখায় গ্রামবাসীরা আপত্তিও তুলেছেন। ক্ষুব্ধ স্কুল কর্তৃপক্ষও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকি বলেন, “সারাদিন ট্রাক্টরে করে বালি সরবরাহ করায় স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত থাকি। কিন্তু স্কুলের তরফে কোনও প্রতিবাদ করার সাহস পাই না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মুশা মিঞা, আশিক খান, পিন্টু মিঞা, ফরিদুল খানরা স্কুলের সামনে বালি ফেলে অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে। প্রশাসন এবং শাসক দলের নেতাদের একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কিছু হয়নি।”
অভিযুক্তদের দাবি, ‘‘আমরা নিজেদের জায়গায় বালি ফেলে ব্যবসা করছি। ওই বালি অবৈধভাবে তোলা হয়নি।” তবে দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “দলের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি প্রশাসনকে।” তা হলে দলের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে দল? তার উত্তর অবশ্য মেলেনি।
আরামবাগ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জয়ন্ত ভড় বলেন, “তবে বৈধ ভাবে বালি তোলা হলেও বালি জমানোর অনুমতি নেই। বিষয়টা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”