অভিভাবকদের হেনস্থায় অভিযুক্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর

ভর্তির টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদ করেছিলেন অভিভাবকেরা। এই ‘অপরাধে’ তাঁদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বুধবার হিন্দমোটর হাইস্কুলে ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিন্দমোটর শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫২
Share:

ভর্তির টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদ করেছিলেন অভিভাবকেরা। এই ‘অপরাধে’ তাঁদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বুধবার হিন্দমোটর হাইস্কুলে ঘটনা।

Advertisement

ওই স্কুলের অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন ক্লাসের ভর্তির টাকা এক ধাক্কায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু এত টাকা দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। বিষয়টিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমল না দেওয়ায় অভিভাবকেরা কমিটি গড়ে আন্দোলন শুরু করেন‌। প্রতিদিনের মতোই বুধবার সকালে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। অভিযোগ, সকাল ৯টা নাগাদ স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর কামাখ্যা সিংহ দলবল নিয়ে আন্দোলনকারী অভিভাবকদের উপর চড়াও হন। অভিভাবক কমিটির সভাপতি ঘনশ্যাম মিশ্র বলেন, ‘‘ওঁদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। আমাদের হাত থেকে প্ল্যাকার্ড কেড়ে ফেলে দেন তাঁরা। ধাক্কাধাক্কি করেন।’’

মাস দু’য়েক ধরে ওই স্কুলে অভিভাবকেরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের তরফে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এবং শিক্ষা দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠকও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি বদল হয়নি।

Advertisement

অভিভাবক কমিটির সম্পাদক জয়ন্তী দাসের অভিযোগ, ‘‘যে ভাবে হেনস্থা করা হ‌ল, বলার নয়। আমাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছিল‌। গালাগাল করা হচ্ছিল।’’ অভিভাবকদের দাবি, প্রথমে কামাখ্যাবাবুর নেতৃত্বেই ভর্তির টাকা কমানোর আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে তিনিই আন্দোলন থেকে সরে যান। এক অভিভাবক বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা হওয়াতেই হয়তো উনি সরে পড়েছেন।’’ কামাখ্যাবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘অভিভাবকদের আন্দোলনের জেরে পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকতে পারছে না। সে কথাই তাঁদের বলতে গিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে সব মিথ্যা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement