পুরপ্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর মনোজ উপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের ফলে ভদ্রেশ্বরের অবস্থা ছিল ত্রিশঙ্কু। কিন্তু শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই।
এক নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন মেলায় ভদ্রেশ্বরের পুরবোর্ড গড়তে চলেছে শাসকদলই। শুক্রবার ওই পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন মনোজ উপাধ্যায়। একই সঙ্গে এ দিন রিষড়া এবং কোন্নগর পুরসভার কাউন্সিলরদেরও শপথ হয়। কিন্তু এ দিন রিষড়া এবং কোন্নগরে ভাইস-চেয়ারম্যানের নাম চূড়ান্ত না হওয়ায় কাউন্সিলরদের কেউ কেউ ম্রিয়মান হয়ে পড়েন।
ভদ্রেশ্বর পুরসভায় মোট আসন ২২। পুরভোটে তৃণমূল পায় ১১টি আসন। বাকি আসনগুলির মধ্যে নির্দল ১টি, কংগ্রেস ২টি, বিজেপি ২ এবং বামফ্রন্ট পায় ৬টি। তবে, এই অবস্থা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের খুব বেশি দিন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়নি। দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁরা নিশ্চিত হয়ে যান নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন তাঁদের দিকেই আসবে। সেটাই হয়েছে।
ভদ্রেশ্বর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান মনোজবাবু আগের দফায় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এ বার ওই পদে আসীন হচ্ছেন প্রলয় চক্রবর্তী। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সুবোধ ঘোষাল বলেন, ‘‘২০১০ সালে সিপিএমকে পরাস্ত করে এই পুরবোর্ডে আমাদের দলকে ক্ষমতায় আনতে মনোজের বড় ভূমিকা ছিল। দল ওঁকে সম্মান দেওয়ায় আমরা সবাই সম্মানিত হলাম।’’
রিষড়া পুরসভায় ফের চেয়ারম্যান হলেন শঙ্কর প্রসাদ সাউ। কোন্নগরে বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পুরসভায় যাঁদের কাজ নিয়ে সে ভাবে বিতর্ক-বিবাদ নেই, তাঁদের পরিবর্তন করা হবে না। সেই অনুযায়ীই এই দুই পুরসভার শীর্ষ পদে কোনও পরিবর্তন করা হল না।
তবে, এই দুই পুরসভায় এখনও ভাইস-চেয়ারম্যানের নাম চূড়ান্ত হয়নি। ওই পদের জন্য দুই পুরসভাতেই কাউন্সিলরদের চেষ্টার অন্ত নেই। তাঁরা দলের বড় নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ রাখা শুরু করেছেন বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, শুক্রবার কোন্নগর পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা চেয়ারম্যানের কাছে ছুটে যান।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বাপ্পাদিত্যবাবু দলীয় কর্মীদের জানান, রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নির্দিষ্ট কোনও নাম আসেনি। কোন্দল চলছে তারকেশ্বর পুরসভাতেও। সেখানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে হয়েছে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত।