বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাগবাড়ির বাসিন্দাদের একাংশ। ছবি: দীপঙ্কর দে
পুকুর ভরাট এবং শ্মশানে যাওয়ার রাস্তায় পাঁচিল তোলার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন তারকেশ্বর বালিগড়ি ২ পঞ্চায়েতের বাগবাড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের একটি পুকুর ধীরে ধীরে ভরাট করছে স্থানীয় একটি কারখানার কর্তৃপক্ষ। শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটিও পাঁচিল দিয়ে ঘিরে নিচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ কয়েকশো গ্রামবাসী হাতে পোস্টার নিয়ে ওই কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের শান্ত করে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর আড়াই আগে পুকুর ভরাট এবং রাস্তায় পাঁচিল দেওয়া নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিবাদ কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছায়। গ্রামের শ্মশান কমিটির সম্পাদক বাবুসোনা রায় বলেন, ‘‘আমরা আদালতে মামলা করেছিলাম। আদালত সকলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছে। তবু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। এই উদাসীনতার কারণ বুঝতে পারছি না।’’ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কাজল পণ্ডিত নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘শ্মশানে যাওয়ার জন্য সোজা একটি রাস্তা ছিল। সেই রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেওয়ায় ঘুরপথে শ্মশানে যেতে হয়। রাস্তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’ ওই কারখানার মালিক মণীশ ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, ‘‘গত ১০ বছর ধরে কারখানা চলছে। ১৫ বছর আগে পাঁচিল ঘেরা জমি কেনা হয়েছিল। পুকুরটি কারখানারই অংশ। সেটি ভরাট করা হয়নি। তা ছাড়া একটা কারখানার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে রাস্তা বার করে গ্রামবাসীদের দেওয়া হবে? কারখানার বাইরে একটা রাস্তা আছে। সেটা তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন।’’ আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রশাসনকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল।’’ আদালতের নির্দেশ নিয়ে মন্তব্যে নারাজ তারকেশ্বর ব্লক প্রশাসন। ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একটি অভিযোগ পাওয়ার পরে ভূমি দফতর থেকে জমির ‘ডিমারকেশন’ সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে কাজে কিছু বিলম্ব হয়েছে। রিপোর্ট এলে আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বসব।’’ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবীপ্রসাদ রক্ষিত বলেন, ‘‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন।’’