lockdown

ফিরল আগের দিনের ছবিই

বৃহস্পতিবারের লকডাউন কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ায়। শনিবারও তার পুনরাবৃত্তি হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৪:২৯
Share:

লকডাউনে শুনশান ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। পাঁচলায়। ছবি: সুব্রত জানা

ছবিটা হুবহু মিলে গেল।
রাস্তাঘাট ফাঁকা। দোকানপাটে তালা। চালু শুধু তিন জুটমিল।
বৃহস্পতিবারের লকডাউন কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ায়। শনিবারও তার পুনরাবৃত্তি হল। বৃহস্পতিবারের মতো এ দিনও খোলা থাকল চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়ার তিনটি জুটমিল।
দুপুরে বাউড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, একটি জুটমিলের সামনে শ্রমিকদের ভিড় গিজ গিজ করছে। তাঁরা সকালের শিফটের কাজ সেরে বেরিয়ে আসছেন। সকলের কাছেই ছিল সাইকেল বা মোটরবাইক। উলুবেড়িয়া, নলপুর, সাঁকরাইল, ফুলেশ্বর প্রভৃতি এলাকা থেকে তাঁরা কাজে যোগ দিতে আসেন। একই ছবি দেখা যায় বাকি দু’টি জুটমিলেও।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের সবাইকে বাধ্যতামূলক ভাবে কাজে আসতে বলা হয়। জুটমিল-মালিকদের তরফে অবশ্য শ্রমিকদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র শ্রমিক আবাসনগুলিতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে। বাইরে থেকে কোনও শ্রমিককে আনা হয়নি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, শুধু জুটমিল নয়, যে কোনও কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি চত্বরের ভিতরে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন চালাতে চান সেটা অনুমোদনযোগ্য। সেই নির্দেশের ফাঁক গলেই জুটমিল-মালিকেরা জুটমিলগুলি পুরোদমে চালাচ্ছেন। যদি কোনও শ্রমিক অভিযোগ করেন যে তিনি বাইরে থাকলেও তাঁকে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে তা হলে সংশ্লিষ্ট জুটমিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু সেই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি।’’
এ দিন সকাল থেকেই বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, শ্যামপুর, ডোমজুড়, রানিহাটি প্রভৃতি এলাকা কার্যত বন্ধের চেহারা নেয়। কোথাও বাজার বসেনি। দোকান খোলেনি। ওষুধের দোকানগুলি অবশ্য খোলা ছিল। গাড়ি না-চলায় মুম্বই রোড ছিল ফাঁকা। সব জায়গায় ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
উলুবেড়িয়ার বাণীবন, কাটরা প্রভৃতি এলাকায় সকালের দিকে কিছু মানুষ ভিড় করলে পুলিশ তাড়া করে। জগৎবল্লভপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লকডাউন ভাঙার অভিযোগে পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ছাড়া, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়। দু’একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে সামগ্রিক ভাবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে লকডাউন মেনেছেন বলে দাবি করেছেন গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement