বেড়েই চলেছে যানজট, নিত্য দুর্ভোগ ডোমজুড়ে

ঠোঁটে বাঁশি। হাতে লাঠি। পরণে খাকি উর্দি। তবে তিনি রাজ্য পুলিশের কেউ নন। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতি তাঁকে নিয়োগ করেছে ছ’বছর আগে, যানজট থেকে শহরকে মুক্তি দিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৭
Share:

যানজটের ছবিটি তুলেছেন সুব্রত জানা।

ঠোঁটে বাঁশি। হাতে লাঠি। পরণে খাকি উর্দি। তবে তিনি রাজ্য পুলিশের কেউ নন। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতি তাঁকে নিয়োগ করেছে ছ’বছর আগে, যানজট থেকে শহরকে মুক্তি দিতে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জনাছয়েক সিভিক ভলান্টিয়ারও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু যানজট থেকে মুক্তি পায়নি ডোমজুড় শহর। উল্টে দিনের পর দিন তা বেড়েই চলেছে। ফলে, নিত্যদিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এ শহরের মানুষকে।

Advertisement

হাওড়া-আমতা রোডের জেলেপাড়া থেকে রেজিস্ট্রি অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশেই মূলত যানজট হয়। অন্নপূর্ণা মোড়ের কাছে এই রাস্তা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে জগদীশপুর রোড। এই রাস্তা দিয়ে আসতে হয় ডোমজুড় স্টেশনে। অন্নপূর্ণা মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাও পড়ে যানজটের কবলে।

কেন এই হাল?

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’টি রাস্তার ধারেই গড়ে উঠেছে দোকান। ফলে, রাস্তা আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। অনেক দোকান আবার উঠে এসেছে ফুটপাথে। তার উপরে দোকানের সামনেই মোটরবাইক ও সাইকেল রেখে অনেকে নানা কাজ সারেন। তার জেরে যানজট হচ্ছে। থানার সামনে তৈরি হয়েছে বাসস্ট্যান্ড। হাওড়া-ডোমজুড় রুটের বাস এবং মিনিবাস এই বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার সময়ে পুরো রাস্তা ঘুরে যায়। সেই কারণেও যানজট হয়। অন্যদিকে, অন্নপূর্ণা মোড় থেকে জগদীশপুর রোড ধরেও চলে বাস-মিনিবাস, ট্রেকার। সব মিলিয়ে যানজট হয় এখানেও। অথচ, পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এমনিতেই হাওড়া-আমতা রাস্তা সংকীর্ণ। তার উপরে বেড়ে গিয়েছে গাড়ির সংখ্যা।

জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ফুটপাথ দখলমুক্ত করা তাদের কাজ নয়। এ বিষয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলে তারা সহায়তা করতে পারে মাত্র। যানজট নিয়ন্ত্রণে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। তাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছে, বাঁশি-লাঠি দিয়ে যে যুবককে যানজট নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানো হয়েছে, তাঁর বেতন সমিতির পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়। সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর চট্টোপাধ্যায় জানান, যানজট সমস্যা মেটাতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। ফুটপাথ দখলমুক্ত করতেও প্রচার হয়েছে। সাময়িক ভাবে সমস্যা মিটলেও ফের যে কে সেই হয়ে গিয়েছে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির উপরে জোর দিয়েছেন সুবীরবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement