স্বামী মারা গিয়েছেন। আর্থিক সমস্যার কারণে ফোনের বিল দিতে পারছিলেন না এক মহিলা।
এক বছর আগে দিল্লি রোডে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিচ্ছিল না বিমা কোম্পানি।
শনিবার এরকমই নানা সমস্যার সমাধান হয়ে গেল শ্রীরামপুরে লোক আদালতে। এ দিন শ্রীরামপুর আদালত চত্বরে লোক আদালতের চারটি বেঞ্চ বসেছিল। সেখানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারক চন্দন লাহিড়ী, শ্রীরামপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর আদালতের দেওয়ানি বিচারক (জুনিয়র ডিভিশন) সৌরভ রায় এবং হুগলি জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (ডালসা) সচিব শৌনক মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এবং সমাজসেবীরা। এ দিন লোক আদালতে কেস ওঠার পরে ফোনের বিলের অর্ধেক টাকা নিতেই সম্মত হন মোবাইল কোম্পানির লোকজন। বীমা কোম্পানিকে ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন লোক আদালতের বিচারকেরা।
জাতীয় আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্য আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এ দিন হুগলি জেলার চারটি মহকুমাতেই লোক আদালত বসে। আয়োজক ছিল হুগলি জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এ দিন গোটা জেলায় ১৬৩১টি মামলা বিবেচনার জন্য উঠেছিল। এর মধ্যে ৮৫৫টির মামলার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ব্যাঙ্কের ঋণ না মেটানো, ফোনের বিল জমা না দেওয়া, দুর্ঘটনা বিমার টাকা না পাওয়া-সহ নানা সমস্যা। এ দিন সারা জেলায় দুর্ঘটনাজনিত বিমার মামলা উঠেছিল ৬৫টি। তার মধ্যে ৪০টির নিষ্পত্তি হয়েছে। সেই বাবদ ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার বেশি আদায় করতে পেরেছে। মোটর ভেহিকল সংক্রান্ত বিষয়ের ফয়সালা হয়েছে লোক আদালতে।