পিএফএমএস ইন্দিরা আবাসেও

১০০ দিনের প্রকল্পের পর ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পেও পুরোদমে পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএফএমএস) চালু হল হুগলিতে। ইলেকট্রিক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় এই পিএফএমএস-এর দরুন গৃহ নির্মাণের বরাদ্দকৃত তিনটি কিস্তির টাকা দফায় দফায় ১৭,৫০০+৪২,০০০+১০,৫০০) সরাসরি কেন্দ্র থেকে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৫ ০১:৫০
Share:

১০০ দিনের প্রকল্পের পর ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পেও পুরোদমে পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএফএমএস) চালু হল হুগলিতে।

Advertisement

ইলেকট্রিক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় এই পিএফএমএস-এর দরুন গৃহ নির্মাণের বরাদ্দকৃত তিনটি কিস্তির টাকা দফায় দফায় (১৭,৫০০+৪২,০০০+১০,৫০০) সরাসরি কেন্দ্র থেকে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে গত ১০ এপ্রিল একটি নির্দেশ আসে। হুগলি জেলার সমস্ত ব্লকে ২১ এপ্রিল পৌঁছনো ওই নির্দেশিকায় পিএফএমএস পদ্ধতিটি যাতে মসৃণভাবে চালানো যায় সে জন্য প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে পিএফএমএসের অধীনে আনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

জেলার বিডিওরা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ। প্রসঙ্গত ১০০ দিনের প্রকল্পে মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতি রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। জেলা এবং ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই পদ্ধতি চালু হলে উপভোক্তাদের ব্লক এবং পঞ্চায়েতে বারবার গিয়ে হয়রান হতে হবে না। সরাসরি তাঁদের হাতে পৌঁছে যাবে বরাদ্দের টাকা। তাছাড়া কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের নজরদারিতে থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি নিয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য। পাশপাশি কাজের চাপ কমে যাবে ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত প্রশাসনের। সর্বোপরি সরকার সহজে উপভোক্তাদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়তে পারবে।

Advertisement

উপভোক্তাদের কিস্তির টাকা পাওয়া নিয়ে হয়রানি ইন্দিরা আবাস যোজনার মূল সমস্যাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নামের বানানের হেরফেরে চেক পাওয়ার যেমন দেরি হওয়ার নজির রয়েছে, তেমনই চেক বাউন্সও করার নজিরও আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে কিস্তির টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন বহু উপভোক্তা। এ বার থেকে এই সমস্ত সমস্যা এড়ানো যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement