বাস না থাকায় নাকাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। আন্দুল থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ কলকাতায় যাতায়াত করেন। আন্দুল রোড ধরে আধঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যায় রবীন্দ্রসদন, এস এসকে এম হাসপাতালের সামনে। কিন্তু আন্দুল থেকে সরাসরি কলকাতায় যাতায়াতের কোনও বাস পরিষেবা না থাকায় সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
তা হলে কীভাবে কলকাতায় যাতায়াত করেন তাঁরা?
আন্দুল থেকে টোটো বা অটোয় পৌঁছতে হয় আলমপুর। সেখান থেকে মুম্বই রোড হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যে সব বাস কলকাতায় যায় সেগুলিই ভরসা তাঁদের। বিকল্প রাস্তা অবশ্য আছে। তা হল ট্রেনপথ। মৌরিগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে যেতে হয় সাঁতরাগাছি। সেখান থেকে বাসে কলকাতা তথা ধর্মতলা।
আন্দুলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখান থেকে সরাসরি ধর্মতলা পর্যন্ত বাস চালু থাকলে তাঁদের এই ঝামেলা পোহাতে হতো না। আন্দুল রোড ধরে মৌরিগ্রাম রেল উড়ালসেতু পার হয়ে তাঁরা মাত্র আধঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারতেন রবীন্দ্রসদন বা এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে। উল্লেখ্য, এক সময়ে আলমপুর থেকে আন্দুল হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত সরাসরি সিটিসি (ট্রাম কোম্পানি)-র বাস চলত। বছর দুই আগে সেই পরিষেবা তুলে দেওয়া হয়েছে। রুট বদলে সিটিসি বাস এখন ধূলাগড় থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ধর্মতলা যাতায়াত করে। আলমপুর থেকে ধর্মতলা হয়ে ব্যারাকপুর পর্যন্ত একটি বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু ছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেটিও।
আন্দুলের বাসিন্দা দুর্গাপদ দাস বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকি আমরা। অথচ সঠিক পরিবহণ ব্যবস্থার অভাবে মনে হয় কোনও দুর্গম এলাকায় থাকি।’’ অবিলম্বে আন্দুল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করার দাবি জানান তিনি। শুধু তাই নয়, আন্দুল রোড ধরে হাওড়া শহরে যাতায়াতেও নাকাল হতে হয় বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, রানিহাটি-বড়বাজার এবং আলমপুর-রাজাবাজার এই দুটি রুটের মিনিবাস আন্দুল রোড ধরে হাওড়ায় যায়। আলমপুর হাওড়া রুটের বেসরকারি বাসও এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই তিনটি রুটের বাসে হাওড়ায় যাওয়া কার্যত দুঃস্বপ্ন। কখন যে বাসগুলি হাওড়ায় পৌঁছবে কেউ বলতে পারেন না। এই তিনটি রুটের বাস যাতে সময় মেনে চলাচল করে তা দেখার জন্য জেলা পরিবহণ দফতরের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।