পুলিশের তাড়া খেয়ে অন্য জেলায় দলবল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল শ্রীরামপুরের দুষ্কৃতী যিশু ওরফে নটনারায়ণ ঘোষ। তখনই বরাত আসে এক তৃণমূল নেতাকে নিকেশ করতে হবে। বরাত পেয়েই বর্ধমানের মাধবডিহিতে রায়না ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম ওরফে বাবলুকে গুলি করে খুন করে তারা। তবে টাকাপয়সার লেনদেন নয়, নিরুপদ্রবে বর্ধমানে থাকার শর্তেই ওই নেতাকে তারা খুন করে। হুগলি জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, তদন্ত চলছে। বাকিদের গ্রেফতার করা হলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
গত বুধবার রাতে শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডের কাছ থেকে গাঁজা এবং আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়ার পরে পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে যিশুর তিন সাগরেদ। ধৃতদের নাম সেখ সোরাব, অভি সরকার ওরফে নেওলা এবং দেবতোষ দে ওরফে সায়েদ। তাদের কাছ থেকে তিনটি রিভলভার, তিন রাউন্ড গুলি এবং ২৩ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। এ ছা়ড়াও নম্বর প্লেটহীন কালো রঙের একটি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নেওলা এবং সায়েদের বাড়ি শ্রীরামপুর ৫ নম্বর কলোনিতে। অভি থাকে স্থানীয় মল্লিকপাড়ায়।
শুক্রবার আদালত তাদের তিন দিন পুলিশ হাজতে পাঠিয়েছে। গাঁজা পাচারের উদ্দেশ্যে ওই দুষ্কৃতীরা মল্লিকপাড়ার দিকে আসছিল বলে পুলিশের দাবি। গত অক্টোবরে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর রাতে শ্রীরামপুরের চাতরা এলাকায় সুরজিৎ মিত্র ওরফে চিমা নামে এক দুষ্কৃতী খুন হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ যিশুকে খোঁজা হচ্ছিল। গত ১১ মে মোটরবাইকে চেপে ভাইপোর সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় খুন হন তৃণমূল নেতা আলিম। বাড়ির কাছে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথায় এবং পাঁজরে গুলি লাগে। ঘটনার পরে আলিমের পরিবার ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছিলেন। একই অভিযোগ করেছিল সিপিএমও। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছিল।